প্লট ও ফ্ল্যাট কেলেঙ্কারি এবং রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র প্রকল্প ঘিরে দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরুর পর এবার টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে আয়কর নথিতে অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন, দুদক।
দুদকের অনুসন্ধানে, টিউলিপ সিদ্দিকের ১৩ বছরের আয়কর নথি জব্দ করে তাতে অসঙ্গতি ও মিথ্যা তথ্য পাওয়া গেছে । টিউলিপের নামে ২০০৬–০৭ করবর্ষ থেকে ২০১৮–১৯ করবর্ষ পর্যন্ত দাখিল করা রিটার্ন ও সংশ্লিষ্ট নথি সংযুক্ত রয়েছে জব্দ করা আয়কর নথিতে। এরপর তিনি আর রিটার্ন দাখিল করেননি বলে দুদক জানতে পারে।
এসব আয়কর নথিতে টিউলিপের নাম কোথাও রিজওয়ানা সিদ্দিক, কোথাও রিজওয়ানা সিদ্দিক টিউলিপ, আবার কোথাও টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক লেখা হয়েছে। সইগুলোও সব মনে হয় ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তির হাতের লেখা। আবার নামের বানানের সঙ্গে কোনো কোনো সইয়ে লেখা বানানেও অসঙ্গতি দেখা যায়। ব্রিটিশ সরকারি দলিলে তার যে সই দেখা গেছে, তার সঙ্গে দুদকের জব্দ করা আয়কর নথির স্বাক্ষরের মিল নেই।
দুদক জানায়, টিউলিপের আয়কর নথিতে তিনি ২০০৬–০৭ করবর্ষে প্রথম আয়কর নথি খুলেন এবং ২০১৮–১৯ করবর্ষ পর্যন্ত নিয়মিত রিটার্ন দাখিল করেন। এরপর আর রিটার্ন দাখিল করেননি।
মোট ৮৭টি পৃষ্ঠার এসব নথির মধ্যে ২০০৬–১৫ করবর্ষ পর্যন্ত প্রতিটি রিটার্নে ‘অ্যাডভান্স টুওয়ার্ডস ডেভেলপার্স’ শিরোনামে ৫ লাখ টাকা ব্যয়ের তথ্য রয়েছে।
দুদক তদন্ত করে জানায়, টিউলিপ ঢাকার গুলশানে তার ফ্ল্যাট থাকার বিষয়টি আয়কর নথিতে ‘গোপন’ করে আবাসন কোম্পানিকে অগ্রিম অর্থ পরিশোধের তথ্য দিয়েছেন। যদিও ২০০২ সালের ৩০ অক্টোবরের সাফ কবলা দলিল অনুযায়ী, গুলশান সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে নিবন্ধন করা ফ্ল্যাটটির মালিক হিসেবে ভোগদখলে ছিলেন তিনি।
জেড নিউজ, ঢাকা ।