আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর দেশে হুন্ডির প্রভাব কমে গেছে। যার ফলে বৈধপথে রেমিট্যান্স বাড়ছে। সেই সঙ্গে ব্যাংকিং চ্যানেলে পাঠানো ডলারের দাম আর খোলাবাজারের দামে বড় পার্থক্য না থাকায় রেমিট্যান্স আয় নতুন নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করছে।
সদ্য সমাপ্ত হওয়া ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রেকর্ড রেমিট্যান্স এসেছে, যা এ যাবতকালে সর্বোচ্চ। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাসেও রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। জুলাইয়ের প্রথম ১৬ দিনে প্রবাসী আয় ৭ দশমিক ৭০ শতাংশ বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
ব্যাংক খাতসংশ্লিষ্টরা বলেছেন, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হুন্ডির ব্যবসা চাঙা ছিল। সরকারের ঘনিষ্ঠ লোকেরা দেশে ডলার আসতে দিতেন না। বিদেশে ডলার কিনে রেখে দিতেন। আর দেশে ব্যাংক থেকে বেনামি ঋণ বের করে রেমিট্যান্সের অর্থ পরিশোধ করতেন।
তবে, এখন সেই চিত্র নেই। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর হুন্ডি কমে এসেছে। আবার ব্যাংকিং চ্যানেলেই এখন ডলারের দাম বেশি মিলছে। যে কারণে এখন কেউ ঝুঁকি নিয়ে অবৈধ পথে দেশে টাকা পাঠাতে চাইছেন না। তাই পাচার ও হুন্ডি কমে যাওয়ায় ব্যাংকিং চ্যানেলে বাড়ছে রেমিট্যান্স। রেমিট্যান্স বৃদ্ধি পাওয়ায় কারণে রিজার্ভও বাড়ছে। ব্যাংকগুলোয় ডলারের যে সংকট চলছিল, তাও কেটে গেছে। তাই সম্প্রতি ডলারের দর কমতে শুরু করেছে। তবে ডলারের দাম ধরে রাখতে নিলামের মাধ্যমে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
জেড নিউজ, ঢাকা।