২০২৪ সালের আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটে। ওই ঘটনার পরে আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী, এমপি, ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক নেতাদের অনেকে লন্ডনে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের অনুরোধে যুক্তরাজ্য সরকার দুর্নীতি ও অর্থপাচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এসব ব্যক্তিদের সম্পদ জব্দ শুরু করে। এই পরিস্থিতিতে সম্পদ পাচারের অভিযোগ ওঠা এসব ব্যক্তিদের অনেকে এখন যুক্তরাজ্যে তাদের সম্পদ ও সম্পত্তি বিক্রি কিংবা স্থানান্তর করছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান শনিবার এক বিশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
গার্ডিয়ান এবং ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের একটি তদন্তে দেখা গেছে, ঢাকায় তদন্তাধীন বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে যুক্তরাজ…
[11:43 am, 20/07/2025] AFAZ UDDUIN BIPOLP Z NEWS: শিবরাত্রিতে মাংস খাওয়ায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করল দিল্লির সার্ক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ
শিবরাত্রির দিনে ছাত্রাবাসে মাংস খাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় এক বাংলাদেশি পিএইচডি শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে ভারতের সাউথ এশিয়ান ইউনিভার্সিটি। এ ঘটনায় মেস সেক্রেটারিকেও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশি ওই শিক্ষার্থীর নাম সুদীপ্ত দাস। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, প্রোক্টোরিয়াল তদন্তের পর বিশ্ববিদ্যালয় সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে, ডক্টরাল প্রোগ্রামের ছাত্র সুদীপ্ত দাস গুরুতর অসদাচরণ করেছেন। তাঁর একাধিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের প্রমাণ পাওয়া গেছে। ফলে তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাৎক্ষণিকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে সাউথ এশিয়ান ইউনিভার্সিটির কোনো কোর্সে আবেদন করার সুযোগ থেকে আজীবনের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে।
সুদীপ্ত দাসকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ছাত্রাবাস ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বহিষ্কারসংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে ২০২২ সালে তাঁর বিরুদ্ধে পূর্বের একটি সাময়িক বহিষ্কারের ঘটনাও উল্লেখ করা হয়েছে।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি শিবরাত্রির দিন ছাত্রাবাসে মাংস খাওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় দুই ছাত্র সংগঠন স্টুডেন্টস ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া, এসএফআই এবং অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ, এবিভিপি’র মধ্যে। দুই পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে সহিসংতা উসকে দেওয়ার অভিযোগ তুলছে।
এ ঘটনার পর আবারও দক্ষিণ এশীয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধর্মীয় সহিষ্ণুতা, বহুত্ববাদ এবং ক্যাম্পাসে মতাদর্শগত মতপার্থক্য নিয়ে বিতর্ক উত্থাপিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অবশ্য বলেছে, ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে তারা কঠোর নজরদারি ও শৃঙ্খলা কার্যক্রম গ্রহণ করবে।
জেড নিউজ, ঢাকা।