ভারতজুড়ে হাজারের বেশি ভাষা রয়েছে। এসব ভাষায় সেখানকার বহু মানুষ কথা বলেন। দেশটিতে ভাষার চেয়ে আবেগ উসকে দেওয়ার মতো বিষয় খুব কমই আছে। এবার এই স্পর্শকাতর বিষয় নিয়েই খেলছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার সরকার দেশজুড়ে হিন্দি ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার মতো আগ্রাসী নীতি নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপির নেতারা মুখে ভাষাগত বৈচিত্র্যের প্রশংসা করলেও, ভারতকে হিন্দুত্ববাদী দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হিন্দি ভাষার বিস্তারে জোর দিচ্ছেন তারা।
ইতিমধ্যে প্রশাসনিক কাজ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পর্যন্ত সর্বত্র হিন্দির ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার চেষ্টা করছে মোদি সরকার। শিক্ষা, কৃষি বা উন্নয়নের মতো বিভিন্ন নতুন সরকারি কর্মসূচির নাম হিন্দিতে রেখে তারা এই প্রচার চালাচ্ছে। সরকারের যুক্তি, ’এক দেশ, এক ভাষা’নীতি বাস্তবায়ন করলেই নাকি দেশের ঐক্য আরও মজবুত হবে।
এদিকে বিজেপি নেতা অমিত শাহ বলেছেন, সরকারি দাপ্তরিক কাজে হিন্দির ব্যবহার বাড়াতে হবে, যাতে অনুবাদের প্রয়োজন না হয়। এই বক্তব্যের পর বিতর্ক আরও তুঙ্গে উঠেছে।
তামিলনাড়ু, কেরালা, পশ্চিমবঙ্গসহ একাধিক রাজ্য বলছে, এটি ভাষাগত বৈচিত্র্যের ওপর সরাসরি হুমকি। আঞ্চলিক ভাষার গুরুত্ব নষ্ট করে হিন্দি ভাষা চাপিয়ে দিলে সংস্কৃতি ও পরিচয় বিলীন হয়ে যাবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন রাজ্যগুলোর নেতারা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একদিকে মোদি সরকার যেমন বিকাশ এবং ডিজিটাল ইন্ডিয়ার কথা বলছেন, অন্যদিকে ভাষার নামে কেন্দ্রীয়করণ করে নতুন বিভাজন তৈরি করছেন। ফলে দেশজুড়ে নতুন করে ভাষা রাজনীতির দাঙ্গার আশঙ্কা করা হচ্ছে ।
জেড নিউজ , ঢাকা ।