ক্যারিয়ারে ‘সবচেয়ে বড়’ সাফল্য পাওয়ার আত্মবিশ্বাস নিয়ে প্রিমিয়ার লিগ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের আশাবাদ শোনালেন চেলসি ডিফেন্ডার।
ফিফার বড় পরিসরে ক্লাব বিশ্বকাপ আয়োজনের পরিকল্পনা প্রকাশ্যে আসার সূচনা থেকেই শুরু হয় তীব্র সমালোচনা। আসর মাঠে গড়ানোর পর নানা কারণে যা ক্রমেই নতুন মাত্রা পায়। অবশেষে টুর্নামেন্টটি ঘিরে কিছু ইতিবাচক মন্তব্য শোনা গেল। চ্যাম্পিয়ন চেলসির ডিফেন্ডার লেভি কলউইলের মতে, ভবিষ্যতে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগকে ছাড়িয়ে যাবে নতুন আঙ্গিকের এই ক্লাব বিশ্বকাপ।
এক মাস ব্যাপী ৩২ দলের এই টুর্নামেন্টে বেশ কিছু চমক জাগানো পারফরম্যান্স দেখা গেছে। তবে সবচেয়ে বড় বিস্ময় হয়তো জমা ছিল শেষের জন্য। যে দলকে নিয়ে প্রত্যাশা খুব একটা ছিল না, সেই চেলসিই ফাইনালে ফেভারিট পিএসজিকে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত করে।
নিউ জার্সির ওই শিরোপা লড়াইয়ে কোল পালমার করেন জোড়া গোল এবং এই মাসেই দলটিতে যোগ দেওয়া জোয়াও পেদ্রো করেন আরেকটি। তাতে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী পিএসজিকে পর্যদুস্ত করে ট্রফি উঁচিয়ে ধরে এন্টসো মারেস্কার দল।
ফুটবলে ঠাসা সূচির সঙ্গে বড় পরিসরের এই টুর্নামেন্ট খেলোয়াড়দের শারীরিক শক্তিকে কেবলই বাড়তি চ্যালেঞ্জ জানাবে, এই বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সমালোচনা শুনতে হয় ফিফাকে। তার সঙ্গে আসর শুরুর পর থেকে নিয়মিত খবরের শিরোনাম হয় ফাঁকা গ্যালারি, প্রতিকূল আবহাওয়া।
তবে ফাইনালে ৮২ হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে শিরোপা লড়াইয়ে বাজিমাত করার পর কলউইলের ধারণা পাল্টে গেছে। তার দৃঢ় বিশ্বাস জন্মেছে, অদূর ভবিষ্যতে এই টুর্নামেন্ট জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠবে।
“ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত আমার জেতা এটাই সবচেয়ে বড় ট্রফি। আমার মনে হয়, ক্লাব বিশ্বকাপ সামনে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চেয়ে বড় হয়ে উঠবে এবং আমরা প্রথম দল হিসেবে এটা জিতলাম।”
অধিকাংশের ধারণাকে মিথ্যা প্রমাণ করে বিশ্ব সেরার মুকুট পরতে পেরে দারুণ আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছেন কলউইল ও তার সতীর্থরা। আগামী মৌসুমে আরও সাফল্যের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন এই ইংলিশ ডিফেন্ডার।
“টুর্নামেন্টের শুরুতে আমি বলেছিলাম যে, আমাদের পরিকল্পনা ক্লাব বিশ্বকাপ জেতা এবং তখন মানুষ আমার দিকে এমনভাবে তাকিয়েছিল যে আমি হয়তো পাগল। তাই এখন আমি আবারও একইরকম কথা বলব-আমরা (আগামী মৌসুমে) প্রিমিয়ার লিগ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতব।”