প্রতিদিনের মতোই রাজপথে আন্দোলন চলছে। তবে এদিন তার সঙ্গে যোগ হয় রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান। স্মারকলিপিতে তারা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ, শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা তুলে নেওয়া ও কোটা সংস্কারের একদফা বাস্তবায়নের দাবি জানান।
এদিন সারাদেশে জেলা শহরগুলোতে বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পদযাত্রা সহকারে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
আন্দোলনকারীরা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়ক দিয়ে বঙ্গভবন যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে গতিরোধের চেষ্টা করে। সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান ও স্লোগান শেষে শিক্ষার্থীরা ব্যারিকেড ভেঙে সামনের দিকে অগ্রসর হন। এরপর পদযাত্রা নিয়ে শিক্ষার্থীরা গুলিস্তান জিরো পয়েন্টে পৌঁছালে পুলিশ আবারও ব্যারিকেড দিয়ে শিক্ষার্থীদের আটকে দেয়। সামনে অগ্রসর হতে না পেরে আন্দোলনকারীরা সেখানেই বসে পড়েন। একপর্যায়ে দুপুর ১টা ৪০ মিনিটের দিকে জিরো পয়েন্টের ব্যারিকেড ভেঙে বঙ্গভবনের দিকে অগ্রসর হন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা সামনে অগ্রসর হয়ে গুলিস্তান পাতাল মার্কেটের কাছে পৌঁছালে পুলিশ ফের তাদের গতিরোধ করে। সেখানে পুলিশের একটি সাঁজোয়া যান প্রস্তুত রাখা হয়। এ সময় রাস্তা ব্লক ও বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজারো শিক্ষার্থী সেখানে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। সেখানে এপিসি কার ও জলকামান নিয়ে শত শত পুলিশ সদস্য প্রস্তুত রাখা হয়।
পরে বেলা আড়াইটার দিকে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে যান। প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিবের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন। বিকাল ৩টার দিকে তারা বঙ্গভবন থেকে বেরিয়ে আসেন।স্মারকলিপি প্রদান শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংসদে অধিবেশন ডেকে এক দফা দাবি বাস্তবায়নে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।
জেড নিউজ, ঢাকা।