সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেনাসদরের একটি প্রশাসনিক চিঠি ছড়িয়ে পড়ায় জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। ওই চিঠিতে সময়কালভিত্তিক কিছু ঘটনায় পুলিশ কর্তৃক সেনা সদস্যদের হেনস্তার অভিযোগ উল্লেখ করে তার একটি তালিকা চাওয়া হয়েছিল।
এ বিষয়টি নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা রোধে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর-আইএসপিআর।একটি স্বার্থান্বেষী মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই বিষয়টিকে অপব্যাখ্যা করছে উল্লেখ করে আইএসপিআর জানায়, সম্প্রতি সেনা সদরের একটি প্রশাসনিক চিঠি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে, যেখানে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ পুলিশের সঙ্গে সংঘটিত ঘটনা সেনা সদস্যদের হেনস্তার শিকার হওয়ার কিছু অভিযোগ সম্বলিত একটি তালিকা আহ্বানের কথা উল্লেখ ছিল।
এ বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে জানানো যাচ্ছে যে, চিঠিটি পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের নামে সংঘটিত বর্বরতম হত্যাযজ্ঞের বিষয়ে গঠিত ‘জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনে’র চাহিদার প্রেক্ষিতেই তথ্য প্রদানের উদ্দেশ্যে কেবলমাত্র প্রেরণ করা হয়েছিল।
পরবর্তীতে, যেকোনো রকম ভুল ব্যাখ্যা বা অপ্রত্যাশিত প্রতিক্রিয়া পরিহারের স্বার্থে ওই চিঠির কার্যক্রম সেনা সদর কর্তৃক তাৎক্ষণিকভাবে বাতিল করা হয়।”
আইএসপিআর আরো বলে, একটি স্বার্থন্বেষী মহল উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এই বিষয়টিকে অপব্যাখ্যা করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি ও অনাস্থা সৃষ্টির অপপ্রয়াস চালাচ্ছে ।বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশ উভয়ই দেশের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সমন্বয় ও পেশাগত সৌহার্দ্যের ভিত্তিতে দীর্ঘদিন ধরে একযোগে কাজ করে আসছে এবং ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
জেড নিউজ , ঢাকা