শেখ হাসিনাকে নিয়ে এবার বোমা ফাটালো তাকে আশ্রয়দানকারী দেশ ভারতের বিখ্যাত পত্রিকা দ্য স্টেটসম্যান। হাসিনার অন্ধকার জগত নিয়ে করা এক প্রতিবেদনে পত্রিকাটি বলছে, শেখ হাসিনা সাম্প্রতিক ইতিহাসে অন্যতম নৃশংস দমন-পীড়নের সরাসরি নির্দেশদাতা হিসেবে অভিযুক্ত।
চব্বিশের ৫ আগস্টের হত্যাযজ্ঞ, যা আন্দোলনের সবচেয়ে ভয়াবহ দিন বলে বিবেচিত। তা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটি ছিল বহু বছরের স্বৈরতন্ত্রের পরিণত প্রকাশ। যা এক ধরনের গণতান্ত্রিক ম্যান্ডেট-এর আড়ালে চলছিল।
স্টেটসম্যান বলছে, শেখ হাসিনাকে ঘিরে সম্প্রতি যেসব তথ্য ফাঁস হয়েছে, তা দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক ইতিহাসে এক অন্ধকার ও নিদর্শনময় অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। যাচাইকৃত অডিও রেকর্ডিং এবং ফরেনসিক বিশ্লেষণে প্রমাণিত হয়েছে যে, শেখ হাসিনা নিজে ছাত্র-আন্দোলনের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী বলপ্রয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
দ্য স্টেটসম্যানের প্রতিবেদনে বলা হয় , গত এক দশকে শেখ হাসিনা ধীরে ধীরে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করেছেন। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা খর্ব করেছেন এবং নজরদারি, সেন্সরশিপ ও নির্বিচার গ্রেফতারের মাধ্যমে ভিন্নমত দমন করেছেন।চব্বিশের ওই হত্যাযজ্ঞ বাংলাদেশের তরুণদের মনে এখনো তীব্র ক্ষতের মতো বেঁচে আছে উল্লেখ করে প্রতিবেদন বলা হয়, শুধুমাত্র ন্যায্যতা, মর্যাদা এবং গণতান্ত্রিক জবাবদিহিতা দাবি করায় তাদের গুলি করা হয়েছে।
এমনকি যখন এই গোপন রেকর্ডিংগুলো আন্তর্জাতিক মহলে সাড়া ফেলছে, তখনও হাসিনার দল তাদের খুনের পক্ষে সাফাই গাইছে।প্রসঙ্গত, চব্বিশের ৫ আগস্ট হাসিনার পতনের পরও কেবল যাত্রাবাড়িতেই আধা ঘন্টায় ৫২ জনকে গুলি করে হত্যা করে পুলিশ। বিবিসির এমন সংবাদের পর স্টেটসম্যান হাসিনাকে নিয়ে এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করলো।
জেড নিউজ , ঢাকা ।