Sunday, July 13, 2025
More
    Homeসংবাদ১২ জুলাই : শুক্রবারেও উত্তাল সারাদেশ

    ১২ জুলাই : শুক্রবারেও উত্তাল সারাদেশ

    কোটাব্যবস্থা বাতিলের দাবিতে ১২ জুলাই শুক্রবার ছুটির দিনেও আন্দোলন অব্যাহত রাখেন শিক্ষার্থীরা। পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, এদিন সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন আন্দোলনকারীরা।

    আগের দিন বৃহস্পতিবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দেয় এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় পুলিশ। পুলিশের হামলায় সারাদেশে সেদিন অন্তত অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। হামলার প্রতিবাদে বিকেলে সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করার কর্মসূচি ঘোষণা দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

    তবে বৃষ্টির কারনে শুক্রবার বিকেল চারটার কর্মসূচি শুরু হয় সাড়ে চারটায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরির সামনে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে শাহবাগে। সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে মিছিল নিয়ে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে শাহবাগ।

    সন্ধ্যায় শাহবাগ মোড় ছাড়ার আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, আগামীকাল শনিবার দেশের ৬৪ জেলায় অনলাইন ও অফলাইনে প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সন্ধ্যা ছয়টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে আমরা পরবর্তী কর্মসূচি জানিয়ে দেব। আমাদের এক দফা দাবি সরকারকে অবশ্যই আমলে নিতে হবে।’

    এদিন বিকেলে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ঢাকা-রাজশাহী রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এছাড়া রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরাও এ বিক্ষোভে অংশ নেন।

    অপরদিকে চট্টগ্রাম নগরের ষোলশহর রেলস্টেশন থেকে বিকেল পাঁচটায় বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। এতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও এর অধিভুক্ত কলেজ ছাড়াও চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা অংশ নেন। মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। একই কর্মসূচী পালিত হয় সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েও।

    এছাড়া কুমিল্লা, ময়মনসিংহ, কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ও গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন। বিক্ষোভ হয় নীলফামারীর সৈয়দপুর, বগুড়া, নোয়াখালী, বরিশাল, খুলনাসহ সবগুলো বিভাগীয় শহর ও বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়।

    এদিন শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়ে হাসিনার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, যারা ষড়যন্ত্র করে শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করেছিল, সেই প্রেতাত্মারা যে এ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত নয়, তা আমি অস্বীকার করতে পারব না। সরকারের দায়িত্ব জনগণের জানমাল রক্ষা করা, সুবিধা-অসুবিধা দেখা। এটি কেউ বাধাগ্রস্ত করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।’

    জেড নিউজ, ঢাকা।

    সর্বশেষ

    যারা মব তৈরি করেছে, তাদের কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে...

    পুরান ঢাকার মিটফোর্ডে ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে বিএনপির...

    বিদ্রোহীদের হামলার মুখে থাইল্যান্ডে পালিয়ে গেল মিয়ানমারের ১০০ সেনা

    দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারের পাঁচ শতাধিক সেনাসদস্য ও শত...

    টানা ৭ মাস বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশের...

    উচ্চ সুদহারসহ বেশ কয়েকটি কারণে এ হার ৮ শতাংশের...

    জবিতে ২ শিক্ষকের ওপর ছাত্রদলের হামলার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

    জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের দুই শিক্ষক ও...

    আরও সংবাদ

    যারা মব তৈরি করেছে, তাদের কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে...

    পুরান ঢাকার মিটফোর্ডে ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে বিএনপির...

    বিদ্রোহীদের হামলার মুখে থাইল্যান্ডে পালিয়ে গেল মিয়ানমারের ১০০ সেনা

    দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারের পাঁচ শতাধিক সেনাসদস্য ও শত...

    টানা ৭ মাস বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশের...

    উচ্চ সুদহারসহ বেশ কয়েকটি কারণে এ হার ৮ শতাংশের...