বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) ত্রয়োদশ কংগ্রেস আগামী ১৯ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার (৭ জুলাই) দলটির পক্ষ থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক জননেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, করণীয় এবং সরকারের সংস্কার বিষয়ে আলোচনা উত্থাপন করেন।
সভার শুরুতে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক কমরেড লুনা নূর। আলোচনায় অংশ নেন কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্যবৃন্দ, সদস্য-সংগঠকবৃন্দ এবং কন্ট্রোল কমিশনের সদস্যরা।
বিবৃতিতে সিপিবি বলেছে, সভায় সারা দেশে চলমান মবসন্ত্রাস, খুন, ধর্ষণ, হত্যাকাণ্ড এবং এসব নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিও জানানো হয়।
দেশের বর্তমান সংকট নিরসনে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার করে নির্দিষ্ট সময়সূচি ঘোষণার দাবি জানিয়েছে সিপিবি।
দলের সভায় চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের লিজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।
একইসঙ্গে রাখাইন করিডোর, চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের লিজ দেওয়া, সমরাস্ত্র কারখানা স্থাপন এবং স্টারলিঙ্কের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে দেশকে সাম্রাজ্যবাদী ও আধিপত্যবাদী শক্তির স্বার্থে ব্যবহারের প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে দেশব্যাপী আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়।
সভায় সারা দেশে শ্রমজীবী মানুষের সংকট বৃদ্ধি, আয় কমে যাওয়া ও বেকারত্ব বেড়ে যাওয়ার বিষয়েও গভীর উদ্বেগ জানানো হয়।
সভায় গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিকে যথাযথ মর্যাদা ও গুরুত্ব দিয়ে পালনের সিদ্ধান্ত হয়। এ উপলক্ষে আগামী ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত দেশব্যাপী নানা কর্মসূচি পালিত হবে। এ ছাড়া, ১৮ জুলাই শহীদ রেজভী দিবস পালনেরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আগামী ১৯ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর চার দিনব্যাপী পার্টির ত্রয়োদশ কংগ্রেস আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সভায়। এর আগে সব শাখা, উপজেলা ও জেলা সম্মেলন যথাযথ উদ্যোগ ও আয়োজনে সম্পন্ন করা হবে।
২০২৪ সালের গণ অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুত ও দৃশ্যমান করার পাশাপাশি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার করে এ বছরের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি পুনর্ব্যক্ত করা হয় সভায়।
এ ছাড়া নীতিনিষ্ঠ বাম, গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল দলগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে তুলে গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠা এবং ব্যবস্থার পরিবর্তনের সংগ্রামকে এগিয়ে নিতে দেশের সচেতন জনগণের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।