নদীমাতৃক বাংলাদেশের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ লুকিয়ে আছে দেশের নদীবালিতেই। পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্রসহ দেশের অসংখ্য নদীর তলদেশে রয়েছে এমন মূল্যবান খনিজ পদার্থ, যেগুলোর বর্তমান বৈশ্বিক মূল্য বিলিয়ন ডলারও ছাড়িয়ে।
যথাযথ পরিকল্পনা ও প্রযুক্তির প্রয়োগ ঘটাতে পারলে এসব খনিজ সম্পদ হতে পারে বাংলাদেশের পরবর্তী অর্থনৈতিক গেম চেঞ্জার।বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন অনুসন্ধান, উত্তোলন ও রপ্তানি নীতিমালা প্রণয়ন করে এবং বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করে এই খনিজ সম্পদকে দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তিতে রূপান্তর করা সম্ভব। প্রতি টন নদীবালিতে ২ থেকে ৮ শতাংশ পর্যন্ত হেভি মিনারেল থাকতে পারে।
বিশ্ববাজারে এসব খনিজের প্রধান সরবরাহকারী দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, চীন, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, মোজাম্বিক এবং সিয়েরালিওন। এই বাজারে প্রবেশ করে বাংলাদেশও অর্জন করতে পারে বিশাল বৈদেশিক মুদ্রা।বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের তত্ত্বাবধানে ১৯৮৬ সাল থেকে শুরু হওয়া একাধিক গবেষণায় এবং পরবর্তীতে জিওলজিক্যাল সার্ভে অব বাংলাদেশের মাধ্যমে এই খনিজ সম্ভাবনার বিশদ চিত্র উঠে এসেছে।
জেড নিউজ, ঢাকা।