বাংলা ব্লকেড ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশে। জেলায় জেলায় সঙ্ঘাত-সংঘর্ষ তখনো শুরু হয়নি। তবে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের চোখ রাঙানি বাড়ছে। এই অবস্থায় ৮ জুলাই দেওয়া হয় নতুন কর্মসূচী। দাবি মেনে নিতে তিন দিনের আল্টিমেটাম ঘোষণা করা হয় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে।
এদিন কেন্দ্রীয়ভাবে রাজধানীর শাহবাগের পাশাপাশি ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনের মোড়, বাংলামটর, মিন্টো রোড, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, কাঁটাবন, নীলক্ষেত, সায়েন্সল্যাব, চানখাঁরপুল, গুলিস্তান জিরো পয়েন্টসহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন আন্দোলনকারীরা। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের চাকরিপ্রত্যাশী শিক্ষার্থীরা ঢাকামুখী সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেন।
আন্দোলন সফল করতে এদিন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ ব্যানারে ৬৫ সদস্যের সমন্বয়ক কমিটি গঠন করা হয় । এর মধ্যে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ২৩ জনকে সমন্বয়ক এবং ৪২ জনকে সহ-সমন্বয়ক করা হয়।এছাড়াও এদিন কোটা বাতিলে এক দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। কর্মসূচি অনুযায়ী পরদিন মঙ্গলবার ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনসহ অনলাইন-অফলাইনে গণসংযোগ, পর দিন বুধবার সারাদেশে সর্বাত্মক ব্লকেড কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়।
এদিকে বাংলা ব্লকেড কর্মসূচির কারনে রাজধানী ঢাকা কার্যত অচল হয়ে পড়ে। যে কারনে পরবর্তী কর্মসূচি ক্যাম্পাসে সীমাবদ্ধ রাখতে সমন্বয়কদের চাপ দিতে থাকে সরকারের গোয়েন্দা বাহিনীগুলি।
সোমবার ব্লকেড শুরু হওয়ার আগেই প্রধান সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ, আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া ও আবু বাকেরকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কার্যালয় সংলগ্ন লাউঞ্জে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। সমন্বয়করা যাতে ঠিক সময়ে কর্মসূচিতে উপস্থিত হতে না পারে, সেই জন্যই আলোচনার নামে কালক্ষেপণ করতে থাকেন ডিজিএফআই’র কর্মকর্তা।
জেড নিউজ, ঢাকা।