গোয়েন্দা অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসছে থলের বিড়াল। বেরিয়ে আসছে সরকার ও রাষ্ট্র বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকাদের নামের তালিকা ও তাদের কুকীর্তির ফিরিস্তি। বলছি, নাকে খত দিয়ে টানা ৬১ দিনের আন্দোলন থেকে সটকে পড়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কথা। যারা জনগণের খেয়ে পরে জনগণকেই করেছেন দিনের পর দিন সেবা বঞ্চিত। দাবী মানার পরও যারা স্বপ্ন দেখেছিলো গণঅভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে প্রতিষ্ঠিত সরকারকে ফেলে দেওয়ার। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। তাদের যাবতীয় আমলনামা এখন সরকারের কাছে।
মঙ্গলবার প্রকাশিত একটি জাতীয় দৈনিক বলছে, এনবিআর সংস্কার অধ্যাদেশের বিরোধিতা করা ছিল নেহায়েতই অজুহাত। উদ্দেশ্য ছিলো আন্দোলনকে ‘কমপ্লিট শাট ডাউনের’ পর্যায়ে নিয়ে আসা। যে কারনে প্রকাশ্যে সরকারের বদলি আদেশও ছিঁড়ে ফেলে তারা।
তদন্ত সংশ্লিষ্টদের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি আরো জানায়, আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে প্রস্তুতকৃত ৮৪৫ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে ষড়যন্ত্রের বিশদ তথ্য উপাত্ত তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে প্রমান রয়েছে আন্দোলনকারীদের হোয়াটসআপ গ্রুপে লেখা নানান পরিকল্পনা, অর্থ উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে প্রকাশ অযোগ্য মন্তব্যসহ নানান কিছুর।
জানা গেছে আন্দোলনের নামে এসব ষড়যন্ত্রকারীদের মাস্টার মাইন্ড হিসেবে কাজ করেছেন অন্তত ১৫ জন কর্মকর্তা। আর পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে কয়েকশ’ কর্মকর্তা যুক্ত থাকলেও মূলহোতাদের মধ্যে অন্তত ৬০ জনের বিস্তারিত এখন সরকারের হাতে। যাদের প্রতি কোনো অনুকম্পা প্রদর্শনের সুযোগ নেই, বলছেন-সংশ্লিষ্টরা।
জেড নিউজ, ঢাকা।