আন্তর্জাতিক কোনো আইন কিংবা রীতিনীতির তোয়াক্কা না করে দিনের পর দিন পুশ ইন অব্যাহত রেখেছে ভারত। তাদের এমন জোরজবরদস্তি হাজারো বাংলা ভাষাভাষিদের জীবনকে করে দিচ্ছে তছনছ। যাদের মধ্যে খোদ ভারতের নাগরিক যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে মিয়ানমারের রোহিঙ্গারাও। এসব রোহিঙ্গাদের মধ্যে অধিকাংশই আবার ভারতে আইনী প্রক্রিয়ায় নিবন্ধিত।
সোমবার ঢাকা থেকে প্রকাশিত একটি প্রথম সারির দৈনিক বলছে, ভারত থেকে অবৈধ পুশইন বা বলপূর্বক ঠেলে পাঠানো চলছেই। এর মধ্যে ভারত থেকে ঠেলে পাঠানো রোহিঙ্গার সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে। তারা কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ট্রানজিট ক্যাম্প ও স্বজনের বাসায় আশ্রয় নিয়েছেন। সব মিলিয়ে শনিবার পর্যন্ত পুশইন করা হয়েছে এক হাজার ৯০১ জনকে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি, শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয় সূত্রের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি বলছে, গত ৭ মে প্রথম পুশইন শুরু করে ভারত। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার নিন্দা ও উদ্বেগের মধ্যে বন্ধ হচ্ছে না এ কার্যক্রম। ফেরত আসা অনেকে নিপীড়নের গুরুতর অভিযোগ করেছেন। কারও শরীরে নির্যাতনের চিহ্নও দেখা গেছে।
এদিকে ভারতের এমন পুশ ইন নিয়ে বরাবরই প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে সরকার। এমনকি ভারতে কোনো অবৈধ বাংলাদেশি থেকে থাকলে তাকে যথাযথ প্রক্রিয়া দেশে পাঠানোর আহ্বান জানালেও তা আমলে নিচ্ছে না মোদি সরকার।
জেড নিউজ, ঢাকা।