গাজা উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলি বাহিনীর গতকালের (১ জুলাই) চালানো একের পর এক হামলায় কমপক্ষে ১০৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
গাজার চিকিৎসা সূত্রগুলো একপ্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
জিএইচএফ গত মে মাসের শেষ দিকে সীমিত ত্রাণ বিতরণের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তাদের কেন্দ্র গুলোতে প্রায় ৬০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
গতকাল গাজা সিটির উত্তরে, যেখানে ইসরায়েল সম্প্রতি জোরপূর্বক নির্বাসন নির্দেশ জারি করেছে, সেই এলাকাতেও হামলা চালানো হয়েছে। ওই এলাকা ইতিমধ্যেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। স্থানীয় সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানায়, একটি ইসরায়েলি কোয়াডকপ্টার ড্রোনের হামলায় অন্তত ৫ জন নিহত হন।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজার অন্তত ৮২ শতাংশ এলাকা বর্তমানে ইসরায়েলি সেনা নিয়ন্ত্রিত বা জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির হুমকির মধ্যে রয়েছে এবং মানুষের আর কোথাও যাওয়ার উপায় নেই।
দক্ষিণে খান ইউনুস ও এর আল-মাওয়াসি এলাকায় আল-জানাতি পরিবারের একটি বাড়ি লক্ষ্য করে চালানো হামলায় কমপক্ষে ১২ জন নিহত হন। একইসঙ্গে একটি বাস্তুহারা শিবিরে চালানো বিমান হামলায় এক শিশুর মৃত্যু এবং আরও কয়েকজন আহত হন।
মধ্য গাজার নুসাইরাত শরণার্থী শিবিরের পশ্চিমে আরও কয়েকজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আল-আওয়দা হাসপাতাল সূত্র। এছাড়া আল-মাগাজি শরণার্থী শিবিরে একটি জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলে আশ্রয় নেওয়া পরিবারের ওপর হামলায় আরও দুজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
এদিকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, তারা গত ২৪ ঘণ্টায় ‘সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তু’ ও ‘সশস্ত্র যোদ্ধা’দের লক্ষ্য করে গাজায় ১৪০ বারের বেশি হামলা চালিয়েছে। তবে, বাস্তবতা হলো নিহতদের অধিকাংশই সাধারণ ফিলিস্তিনি নাগরিক, যাদের অনেকে আশ্রয়, খাবার বা জীবন বাঁচাতে ছুটে বেড়াচ্ছেন।