খিলক্ষেত এলাকার অস্থায়ী মণ্ডপ অপসারণের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়েছে, কোনো পরিস্থিতিতেই সরকারি জমি দখল করে কোনো ধর্মীয় স্থাপনা নির্মাণ করা অনুমোদিত নয়। অস্থায়ী মণ্ডপ সরানোর বিষয়ে গত বছরই স্থানীয় সব সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সর্বশেষ চলতি বছরের ২৬ জুন নিয়মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে সেটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। সেইসঙ্গে এ বিষয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত বছর দুর্গাপূজার সময় পূর্বানুমতি ছাড়াই স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায় বাংলাদেশ রেলওয়ের মালিকানাধীন একটি জমিতে অস্থায়ী পূজামণ্ডপ স্থাপন করেছিল। পরে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এ শর্তে অনুমতি দেয় যে, পূজা উদযাপন শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আয়োজকরা অস্থায়ী মণ্ডপটি সরিয়ে ফেলবেন। তবে দুঃখের বিষয় হলো, ২০২৪ সালের অক্টোবরে পূজা শেষ হওয়ার পর আয়োজকরা পারস্পরিক শর্ত লঙ্ঘন করে অস্থায়ী মণ্ডপটি সরিয়ে নিতে অস্বীকৃতি জানান।
পরে তারা সেখানে একটি ‘মহাকালী’ স্থাপন করেন। বারবার স্মরণ করিয়ে দেওয়ার পরও তারা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে উপেক্ষা করে মণ্ডপটিকে স্থায়ী করার উদ্যোগ নেন। কয়েক মাস ধরে অবৈধ দখলকারীদের বারবার অবহিত করা সত্ত্বেও তারা জমি ছাড়েননি। ২৪ ও ২৫ জুন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ পূজার আয়োজকদের অনুরোধ করে সব অননুমোদিত স্থাপনা সরিয়ে নিতে, যার মধ্যে অস্থায়ী পূজামণ্ডপটিও রয়েছে।
অবশেষে ২৬ জুন বাংলাদেশ রেলওয়ে খিলক্ষেত এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করে।বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার দৃঢ়ভাবে পুনরায় নিশ্চয়তা দিচ্ছে যে, ধর্মীয় বিশ্বাস ও ঐতিহ্যের প্রতি তার শ্রদ্ধা অটুট এবং প্রতিটি নাগরিক যেন স্বাধীনভাবে ও সমৃদ্ধভাবে নিজ নিজ বিশ্বাস অনুসরণ করতে পারে—এমন একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও উন্মুক্ত সমাজ গঠনের লক্ষ্যে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সেইসঙ্গে বাস্তবতা উপেক্ষা করে কোনো বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানানো থেকে বিরত থাকতে সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
জেড নিউজ, ঢাকা।