আসামের ডিব্রুগড়ে জলাবদ্ধতা সমস্যা সমাধানের অজুহাতে ১২৮ বছরের পুরনো একটি মসজিদ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। পৌর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, একটি নিষ্কাশন ব্যবস্থা নির্মাণের জন্য চাউলখোয়া জামে মসজিদটি ভাঙা হয়েছে। তবে ভাঙার কাজটি যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন তথ্য ছড়িয়েছে যে, ভারতে সংখ্যালঘু মুসলিম নির্যাতনের ধারাবাহিকতায় এ অপকর্ম করেছে কর্তৃপক্ষ। জেলা প্রশাসন গায়ের জোরে মসজিদটি ভেঙে ফেলেছে।ডিব্রুগড় পৌর বোর্ডের কমিশনার জয় বিকাশ জানিয়েছেন, শহরে কৃত্রিম বন্যার ক্রমাগত সমস্যা সমাধানের জন্য বকুল থেকে সেসা সেতু পর্যন্ত একটি প্রধান নিষ্কাশন ব্যবস্থা নির্মাণ ও আপগ্রেড করার জন্য এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
তিনি আরও যোগ করেন, নতুন নিষ্কাশন ব্যবস্থা ডিব্রুগড়ের বন্যা প্রশমন পরিকল্পনার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হওয়ায় শহরের বৃহত্তর স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।তবে, ১২৮ বছর ধরে এ নিয়ে কোনো সমস্যা না হলেও, হঠাৎ করে প্রাচীন এই মসজিদটিই নিস্কাশন ব্যবস্থায় বাধা হয়ে দাঁড়ালো কেনো, এ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় লোকজনই। তাদের দাবি, দেশটিতে মুসলিম স্থাপনা নিশ্চিহ্ণ করার হিন্দুত্ববাদী নীতির আলোকেই এ ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে।
জেড নিউজ, ঢাকা।