ভারতের আসাম রাজ্যজুড়ে ছয়টি কারাগারের অভ্যন্তরে গড়ে তোলা হয়েছে ডিটেনশন সেন্টার বা বন্দিশিবির। এসব বন্দিশিবিরে আটকে রাখা হয়েছে বিদেশী চিহ্নিত বাংলাভাষীদের। আন্তর্জাতিক চাপ এড়াতে সম্প্রতি বন্দিশিবিরের নাম বদলে ‘ট্রানজিট ক্যাম্প’ করা হয়েছে। এই বন্দিশিবিরে অধিকাংশ বাংলাভাষীই ভারতীয় নাগরিক। সরকারি হিসাবে দেখা যাচ্ছে ২০১১ সাল থেকে এসব বন্দিশিবিরে থাকা ২৬ জন বন্দীর মৃত্যু হয়েছে। বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আসামের নাগরিক পঞ্জি বা এনআরসি থেকে বাদ পড়া ১৯ লাখ মানুষকে পুশইন করার মহাপরিকল্পনা রয়েছে ভারতের। এমন পরিকল্পনার তথ্য জানিয়েছেন ভারতের কাছাড় থেকে প্রকাশিত একটি বাংলা দৈনিকের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিনিয়র সাংবাদিক।
গত ২২ এপ্রিল কাশ্মিরের পহেলগামে হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই ভারতের নানা রাজ্যে শুরু হয় ‘অবৈধ বাংলাদেশী চিহ্নিত’করার অভিযান। প্রথম অভিযানটা হয় গুজরাটে। ওই বিশেষ অভিযানে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার মানুষকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে ছিলেন অনেক ভারতীয় বাংলাভাষীও। শেষমেশ অবশ্য মাত্র ৪৫০ জনকে নিশ্চিতভাবে বাংলাদেশী বলে চিহ্নিত করতে পেরেছে সেখানকার পুলিশ।
প্রায় একই সময়ে রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লিতেও খোঁজা শুরু হয় যে কারা অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসে বসবাস করছেন। নথি যাচাইয়ের পরে যারা ভারতীয় বলে নিজেদের প্রমাণ করতে পেরেছেন, তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। অন্যদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়াও চলছে বলে বিবিসি জানিয়েছে।
উত্তর-পূর্ব ভারতের আসামে ‘বিশেষ অভিযান’শুরু হয় গুজরাট বা রাজস্থান অথবা দিল্লি কিংবা উত্তর প্রদেশের কিছুটা পরেই। সরকারি ভাষ্যমতে এই বিশেষ অভিযান অবশ্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতোই চালানো হয়েছে এবং যাদের আটক করা হয়েছে, তারা অনেক আগেই ‘বাংলাদেশী হিসেবে ঘোষিত’ হয়েছেন সে রাজ্যের ‘বিদেশী ট্রাইব্যুনালগুলোতে।
জেড নিউজ, ঢাকা।