ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধে উত্তপ্ত মধ্যপ্রাচ্য। প্রতি নিয়ত হামলা-পাল্টা হামলায় জর্জরিত হচ্ছে উভয় দেশ। পুড়ছে নগর-মরছে মানুষ। ধংস হচ্ছে সামরিক-বেসামরিক স্থাপনা।
এই যখন অবস্থা তখন এই যুদ্ধ নিয়ে শঙ্কা বাড়ছে বিশ্বজুড়ে। যুদ্ধ দির্ঘায়িত হলে তার প্রভাব বাংলাদেশেও পড়বে এমন আশঙ্কা একেবারেই যৌক্তিক। বিশেষ করে তেলের বাজারে যে আগুন ধরবে, তার উত্তাপ এসে পড়বে ঢাকায়ও।
সূত্র বলছে, ইরানের হরমুজ প্রণালি হয়ে পরিশোধিত জ্বালানি তেলের ২০ শতাংশ ও অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের ৩০ শতাংশ পরিবহন করা হয়। এটি বন্ধ হয়ে গেলে তেলের দামে ঘটবে বড় উত্থান।
জানা গেছে, যুদ্ধের কারনে ইতিমধ্যে প্রতি ব্যারেল ক্রুড অয়েলের দাম ৬৫ ডলার থেকে বেড়ে হয়েছে ৭৫ ডলার। হরমুজ প্রণালি বন্ধ হলে দাম ১২০ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস দিচ্ছে সংশ্লিষ্ট গবেষণা সংস্থাগুলো।
এদিকে বিশ্ববাজারে দাম বাড়লেও ভোক্তা পর্যায়ে পুরোটা না চাপিয়ে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছে সরকার। পাশাপাশি বিকল্প উৎস হিসেবে ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন-বিপিসি।
জেড নিউজ, ঢাকা।