ট্রান্সশিপমেন্ট সংকট পেরিয়ে আকাশপথে পণ্য পরিবহনে বিজয়ের পথে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো কমপ্লেক্স। আগামী জুলাই মাসের মধ্যেই এখান থেকে ফ্লাইট শুরু হতে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে বিমানবন্দরটি দেশের পূর্ব-পশ্চিমের নিজস্ব এয়ার কার্গো হাব হিসেবে গড়ে উঠবে। সেই লক্ষ্যে কার্গো ভিলেজের সক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে। কার্গো হ্যান্ডলিং খরচ কমাতে বিদ্যমান ট্যারিফ পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে। এখান থেকে প্রতিদিন ৪০০ টন পণ্য আমদানি-রপ্তানি করা যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কার্গো ফ্লাইটের প্রস্তুতি এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এখান থেকে চীন, ইউরোপ, আমেরিকায় গার্মেন্টসামগ্রীর পাশাপাশি তুরস্ক, উজবেকিস্তান, জার্মানিতে কাঁচা শাকসবজি পাঠানো হবে। এজন্য বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিমানবন্দরগুলোর ল্যান্ডিং, পার্কিং ও গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং চার্জ কমানোর জোর উদ্যোগ নিয়েছে। এর পাশাপাশি ঢাকার বিদ্যমান শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে আরো গতিশীল করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে সক্ষমতা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ভারত হঠাৎ করে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধ করে দেওয়ায় বাংলাদেশ রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে বিমানবন্দরগুলোর সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। দ্রুততার সঙ্গে সিলেট বিমানবন্দর দিয়ে কার্গো চালুর পর এখন চট্টগ্রাম বিমানবন্দরকেও কার্গোর জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।জানা গেছে, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বহির্বিশ্বে সরাসরি গার্মেন্ট পণ্য পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এখান থেকে চীন, ইউরোপ ও আমেরিকার বাজারে সরাসরি পাঠানো যাবে।
জেড নিউজ, ঢাকা।