আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সাম্রাজ্য টিকেছিলে পুলিশের বন্দুকের নলের ডগায়। যেই পুলিশ হাসিনার নির্দেশ পালন করতে গিয়ে হয়েছিলো দানব। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে নিয়োজিত থাকলেও বস্তুত তারা নিয়োজিত ছিলো আওয়ামী লুটপাটতন্ত্র রক্ষার কাজে। এই কাজ করতে গিয়ে হাজার হাজার নিরীহ মানুষকেই হত্যা করেছে পুলিশ।
২০২০ সালের কক্সবাজারের সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যাকান্ড তেমনই একটি ঘটনা। যেই হত্যাকান্ডটি ঘটিয়েছিলো টেকনাফের ওসি প্রদীপ কুমার দাস ও বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলী।
দেশ নাড়িয়ে দেওয়া ওই হত্যাকান্ডের সর্বশেষ তথ্য হলো ওসি প্রদীপ ও এসআই লিয়াকতের ফাঁসি বহাল রেখেছে হাইকোর্ট বেঞ্চে। এছাড়া মামলার অন্য ৬ আসামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও বহাল রাখা হয়েছে।সূত্র বলছে, কক্সবাজারসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামের মাদক সাম্রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ করতো আওয়ামী লীগ নেতারা। এ কাজে ব্যবহার করা হতো পুলিশকে। মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে অনেক নিরীহ মানুষকে হত্যা করলেও প্রকৃত মাদক কারবারীদের রাখা হতো আড়ালে।
এই কাজে অন্যতম সহায়ক ছিলো ওসি প্রদীপসহ চট্টগ্রাম পুলিশ ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই’র কর্মকর্তারা।মেজর সিনহা হত্যায় ওসি প্রদীপের ফাঁসি কার্যকরের মধ্য দিয়ে হাসিনার দানব পুলিশের বিরুদ্ধে নেওয়া ব্যবস্থা দৃশ্যমান হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জেড নিউজ, ঢাকা।