বাংলাদেশে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত কাছারি বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ভারত সরকার, ভারতীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং হিন্দুত্ববাদী সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলো যেভাবে ঘটনাটিকে ‘সাম্প্রদায়িক আক্রমণ’ বা ‘উগ্রবাদের চক্রান্ত’ হিসেবে প্রচার করছে, তা মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
সোমবার প্রেস উইং এর ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে জানানো হয়, ঘটনাটি একটি স্থানীয় ও ব্যক্তিগত বিরোধ থেকে সৃষ্টি হয়েছে, যার কোনো রাজনৈতিক বা ধর্মীয় ভিত্তি নেই।
পোস্টে বলা হয়, সম্প্রতি, ভারত সরকার, ভারতীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং হিন্দুত্ববাদী সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলি বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈতৃক বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর দাবি প্রচার করেছে। স্থানীয় বিরোধের কারণে সংঘটিত এই আক্রমণকে হিন্দু ঐতিহ্যের প্রতীকের বিরুদ্ধে ‘পরিকল্পিত ইসলামপন্থী আক্রমণ’ বা ‘সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড’ হিসাবে মিথ্যাভাবে চিত্রিত করা হয়েছে- যদিও এর বিপরীতে স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে।
এর আগে গত ১৩ জুন, বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশ করে নিশ্চিত করে যে ভাঙচুরটি ব্যক্তিগত বিরোধের ফলাফল এবং এর কোনও সাম্প্রদায়িক বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল না।
বিবৃতিতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, ‘৮ জুন, শাহজাদপুর রবীন্দ্র কাছারি বাড়ির দায়িত্বে থাকা কর্মচারী এবং পার্কিং টিকিট নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি এবং তর্কের কারণে এক দর্শনার্থীর মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারি শুরু হয়।’
এই হামলার পেছনে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব ছাড়া আর কোনও সাম্প্রদায়িক বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সম্মান বা মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করার মতো কোনও ঘটনা ঘটেনি।
জেড নিউজ , ঢাকা ।