অবশেষে সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে লন্ডনে অনুষ্ঠিত হলো কাঙ্কিত সেই বৈঠকটি। শুক্রবারের দেড় ঘন্টার ওই বৈঠকেই মিললো সমাধান। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে যে বিতর্ক কিংবা অস্থিরতা সেটি কেটে গেলো এক লহমায়। লন্ডনের ওই বৈঠক যেন এক পশলা স্বস্তির বৃষ্টি হয়ে নেমে এলো ঢাকার উত্তপ্ত রাজনৈতিক উনুনে।
ড. ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক নিয়ে নানামুখী আলোচনা ছিলো। ছিলো অনিশ্চয়তা কিংবা বিতর্কও। তবে শেষতক একটি সফল এবং সৌহার্দপূর্ণ বৈঠক দেখলো দেশবাসী। যার জন্য চাতক পাখির মতো তাকিয়ে ছিলো দেশের কোটি কোটি মানুষ।
দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা হলেও ইউনূস-তারেক ওয়ান টু ওয়ান বৈঠকের এজেন্ডা ছিলো কেবলই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন। দুই নেতার আলোচনায় বেরিয়ে এলো একটি নতুন সম্ভাব্য তারিখ। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে কাঙ্খিত সেই নির্বাচন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর ফলে ড. ইউনূসের দেওয়া এপ্রিল কিংবা বিএনপির দেওয়া ডেডলাইন ডিসেম্বর-দুটোরই হলো সহজ সমাধান। সব ঠিকঠাক থাকলে বিগত তিনটি নির্বাচনে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে না পারার যে আক্ষেপ সেটি ঘুচে যাবে দেশবাসীর।
জেড নিউজ, ঢাকা।