জীববৈচিত্র্যে ভরা ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইড বা বিশ্ব ঐতিহ্য এলাকা সুন্দরবন সব সময়ই দেশি-বিদেশি ইকোট্যুরিস্টদের প্রতিবেশ পর্যটকদের জন্য এক দর্শনীয় স্থান। দিনরাত ২৪ ঘণ্টায় ছয়বার রূপ বদলায় এ ম্যানগ্রোভ বনটি। বঙ্গোপসাগরের কোলে বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের কটকার জামতলা ও কদমতলা সি-বিচে দেখা যায় সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের মতো নয়নাভিরাম দৃশ্য। এসব প্রাণ-প্রকৃতির টানে প্রতিবেশ পর্যটক ছুটে আসেন সুন্দরবনে। নয়নাভিরাম এ বনের প্রাণ-প্রকৃতির টানে প্রতি বছর দেশ-বিদেশের গড়ে দেড় লাখের বেশি প্রতিবেশ পর্যটক ছুটে আসে সুন্দরবনে।
সুন্দরবন বিভাগের তথ্যানুযায়ী, অক্সিজেনের অফুরন্ত ভান্ডার দেশের মোট সংরক্ষিত বনের ৫১ ভাগই হচ্ছে সুন্দরবন। ১৬৯ মিলিয়ন টন শোষণ ক্ষমতার প্রায় ৬ হাজার ১৭ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই সুন্দরবনে সুন্দরীসহ ৩৩৪ প্রজাতির গাছপালা, ১৬৫ প্রজাতির শৈবাল ও ১৩ প্রজাতির অর্কিড রয়েছে। রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চিত্রল ও মায়া হরিণ, কুমির, কিং কোবরা, ৩১৫ প্রজাতির পাখিসহ ৩৭৫ প্রজাতির বন্যপ্রাণীর বসবাস।
বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) জানান, গত মৌসুমের চেয়ে এবার সুন্দরবনে পর্যটকের সংখ্যা দ্বিগুণের কাছাকাছি পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। সড়ক যোগাযোগ সহজতর হওয়ায় এখন মাত্র ৩ ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকা থেকে সড়ক পথে সুন্দরবনে আসা যাচ্ছে।
হোটেল-মোটেল বুকিংয়ের বিড়ম্বনা ছাড়াই পর্যটকরা স্বল্প সময়ে কম খরচে দিনের মধ্যেই সুন্দরবন ভ্রমণ করে গন্তব্যে ফিরতে পারবে। এসব কারণে ট্যুর অপারেটর ও পর্যটকরা সুন্দরবন ভ্রমণ করতে বন বিভাগের কাছ থেকে নির্ধারিত রাজস্ব দিয়ে আগাম অনুমতিপত্র নিচ্ছেন।
জেড নিউজ, ঢাকা।