মিয়ানমারের সমুদ্র উপকূলে ভারতীয় নৌবাহিনীর ৪০ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে সমুদ্রে নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ জাতিসংঘ তদন্ত করে দেখছে বলে ঘোষণা করেছে। মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনের আশঙ্কায় জাতিসংঘ এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত সরকার রোহিঙ্গাদের জোরপূর্বক ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া জোরদার করেছে, যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন।গত ৬ মে রাতে দিল্লির উত্তম নগর, বিকাশপুরি ও হাসতসাল এলাকা থেকে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থায় নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আটক করে পুলিশ। পুলিশের ভাষ্য ছিল, শুধুই বায়োমেট্রিক তথ্য নেওয়া হবে। কিন্তু এরপর তাদের আর ঘরে ফেরার সুযোগ দেওয়া হয়নি।
এ ঘটনায় জাতিসংঘের এক বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, তারা মিয়ানমারে তাদের ইউনিটের মাধ্যমে ওই ৪০ রোহিঙ্গার অবস্থান জানার চেষ্টা করছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হয়নি।এদিকে, ভারতের সুপ্রিম কোর্টে বিষয়টি উত্থাপন করা হলে বিচারপতি সূর্যকান্ত ও বিচারপতি এন কোটিশ্বর সিংয়ের বেঞ্চ আবেদনের শুনানি নাকচ করে দেন। বিচারপতিরা বলেন, আবেদনে শক্ত কোনো প্রমাণ নেই।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত ‘কনভেনশন এগেইনস্ট টর্চার’-এর স্বাক্ষরকারী হওয়ায় এই ঘটনা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার চুক্তির গুরুতর লঙ্ঘন। জাতিসংঘ এখন বিষয়টি ঘিরে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে এবং ভারতকে শরণার্থীদের মানবাধিকারের প্রতি সম্মান দেখাতে আহ্বান জানিয়েছে।
জেড নিউজ , ঢাকা ।