কথায় আছে যত গর্জে তত বর্ষে না। ভারতের ক্ষেত্রে এই উক্তিটি যথাযথ। কেননা ভারতীয় মিডিয়াসহ কেন্দ্রীয় সরকারের নেতাকর্মীরা নিজেদের দুর্বলতা ঢাকতেই ক্যামেরার সামনে সীমান্ত নিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলো সম্পর্কে আক্রমনাত্বক মন্তব্য করে থাকে। আদতে তারা নিজেরাই তাদের সীমান্ত রক্ষায় অল্পতেই ভয়ে সিটিয়ে থাকে।ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগাঁওয়ে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলাকে ঘিরে তলানিতে এসে ঠেকেছে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক। ঘটনার পর থেকেই পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, পদক্ষেপ আর হুমকি-ধমকিতে ক্রমেই বাড়ছে উত্তেজনা।
চলমান অস্থিরতার মধ্যে শুধু পাকিস্তানই নয়, বাংলাদেশ সীমান্তেও নজরদারি ও নিরাপত্তা জোরদারে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি তৎপর হয়ে উঠেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বিশ্লেষকদের মতে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশ সীমান্ত নিয়ে গভীর উৎকণ্ঠায় ভুগছে দেশটি।
কিন্তু এসব কিছুর পরও গদি মিডিয়াগুলোর প্রপাগান্ডা ছড়ানোতে ক্লান্তি নেই। বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে পাক জিহাদীদের ভারতে পাঠানোর মিথ্যা দাবি করছে দেশটির মিডিয়াগুলো। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ লাগোয়া সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিতে কেন্দ্রের কাছে দাবি জানাচ্ছে সীমান্তবর্তী মানুষজন।- যা একদমই ভিত্তিহীন ও বানোয়াট প্রচারনা। কারন বেশ ক’দিন ধরে ভারতে অবৈধভাবে বসবাসকারী বাংলাদেশি সন্দেহে ধরপাকড় শুরু হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশে পুশ-ব্যাক করে দেওয়ার বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটিয়েছে খোদ বিএসএফ।
জেড নিউজ, ঢাকা।