গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে পতন হয় ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগের। এরপর থেকেই আত্মগোপনে রয়েছে দলটির নেতাকর্মীরা। অনেকেই আবার ইতোমধ্যেই হাসিনার মতো দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।এবার দেশ ছেড়ে পালানোর খাতায় নাম যোগ হলো ফ্যাসিস্ট সরকারের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের। অবশেষে তিনিও গভীর রাতে দেশ ছেড়ে পালালেন। ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের নয় মাস পর বুধবার মধ্যরাতে দেশ ছেড়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
সূত্র বলছে, রাত ৩টা ৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের টিজি ৩৪০ নম্বর ফ্লাইটে ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন আবদুল হামিদ। এ সময় ছেলে ও শ্যালক তার সঙ্গে ছিলেন। আবদুল হামিদ শারীরিকভাবে খুবই অসুস্থ। নিরাপত্তার অভাবের অজুহাতে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নেননি। তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য গতকাল রাত ১১টার দিকে সাধারণ যাত্রীবেশে শাহজালাল বিমানবন্দরে যান আবদুল হামিদ। এ সময় তার মুখে মাস্ক ও মাথায় ক্যাপ ছিল। পরে ইমিগ্রেশনের প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই শেষে তাকে দেশ ছাড়ার সবুজ সংকেত দেওয়া হয়।
গত ১৪ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ সদর থানায় তার বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটিতে শেখ হাসিনাসহ, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ওবায়দুল কাদেরের নামও রয়েছে।হত্যা মামলার আসামী হওয়ার পরও কেন আবদুল হামিদকে দেশ থেকে অনুমতি দেওয়া হলো- এমন প্রশ্নের জবাবে ইমিগ্রেশন পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জের মামলার বিষয়টি ইমিগ্রেশন বিভাগ অবগত ছিল। কিন্তু তার বিদেশ সফরের বিষয়ে আদালত বা দুদক থেকে কোনো নিষেধাজ্ঞা ছিল না। তাই তার বিদেশযাত্রায় বাধা দেওয়া হয়নি।
জেড নিউজ, ঢাকা।