ভারতের প্রেসক্রিপশনে চলা আওয়ামী লীগের সবচেয়ে জঘন্য অপরাধ ছিলো শাপলা গণহত্যা। ২০১৩ সালের ৫ মে রাতের সেই ভয়ঙ্কর গণহত্যা কেবল বাংলাদেশই নয়, বিশ্ব মুসলমানের হৃদয় ভেঙে খানখান করে দেয়।সূত্র বলছে, শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের বিরুদ্ধে ইসলাম অবমাননার অভিযোগ তুলে সৃষ্টি হয় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের। দেশের কওমী ঘরানার বিশাল একটি অংশের নেতৃত্বে এই সংগঠনটির সূচনা হলেও তাতে সম্মতি ছিলো এদেশের ইসলাম প্রিয় জনতার।
এক পর্যায়ে ৫ মে রাজধানীর শাপলা চত্ত্বরে মহাসমাবেশের ডাক দেয় সংগঠনটি। এদিন রাতেই সংগঠনটির লাখ লাখ নেতাকর্মী শাপলা চত্ত্বরে অবস্থান নিলে রাতে অন্ধকারে সেখানে গণহত্যা চালায় হাসিনা সরকার।গণহত্যা চালিয়েও ক্ষান্ত হয়নি খুনি হাসিনা। সেখানে কোনো হত্যাকান্ড ঘটেনি, হুজুররা গায়ে রক্ত মেখে শুয়েছিলো এমন মন্তব্যও করেন এই লেডি হিটলার। সে সময় ওই গণহত্যায় হতাহতের তথ্য প্রকাশ করে রোষানলে পড়ে কয়েকটি গণমাধ্যম বন্ধ হয়ে যায়। জেলে যেতে হয় অনেক মানবাধিকার কর্মীকেও।
অবশেষ চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর এর বিচারের দাবি উঠে। ইতিমধ্যে ওই গণহত্যায় নিহতের সংখ্যাও প্রকাশ করেছে হেফাজতে ইসলাম।রবিবার প্রকাশিত ওই তালিকায় মোট ৯৩ জনের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হলেও হেফাজত বলছে এই তালিকা আরো দীর্ঘ হতে পারে।
এদিকে ওই গণহত্যার পর উল্টো হেফাজত নেতাদের নামে দেওয়া হয় ৪৮ টি মামলা। হয়রানিমুলক ওই মামলাগুলোর কার্যক্রমও স্থগিত করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে হেফাজতের পক্ষ থেকে।
জেড নিউজ, ঢাকা।