ওয়াকফ বিল নিয়ে ভারত জুড়ে যখন বিক্ষোভ তুঙ্গে, তখন মুসলিম গণহত্যার প্লট সৃষ্টি করতেই কাশ্মিরে সাজানো হলো জঙ্গী নাটক। এযেন দিল্লির বুকে হাসিনার ঢাকার এক অন্ধকার গলি। যেখানে বসে নাটকের কুশীলবরা ছক আঁকছেন, এবার পেহেলগোমে- পরে হয়তো অন্য কোথাও।উদ্দেশ্য-জঙ্গী হামলার তকমা দিয়ে মুসলমানদের ফাঁসিয়ে দেওয়া। আর হত্যার অভিযোগ দিয়ে মুসলিম বিশ্বকে নিবৃত রাখা- যাতে তারা কাশ্মিরিদের পক্ষে না দাঁড়ায়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নরেন্দ্র মোদি যখন সৌদি সফরে ঠিক তখনই কাশ্মিরের ওই হামলার ঘটনার উদ্দেশ্য একটাই ছিলো যে যাতে সৌদি যুবরাজকে তৎক্ষনাত বোঝানো যায় যে সেখানকার মুসলমানরা জঙ্গী। তাই তাদের বিরুদ্ধে ভারত যে ব্যবস্থা নিবে তাতে যেন সৌদিসহ মুসলিম বিশ্ব নাক না গলায়। তবে মোদির সেই চক্রান্ত ফাঁস হয়েছে খোদ ভারতীয় সেনা ও নিহতদের পরিবারের সদস্যদের মুখেই।
ইতিহাস বলছে, কাশ্মীর, ভারতীয় উপমহাদেশের সবচেয়ে দ্বন্দ্বপূর্ণ স্থান। ১৩৩৯ সালে শাহ মীর কাশ্মীরের প্রথম মুসলিম শাসক হিসেবে অধিষ্ঠিত হন। গোড়াপত্তন করেন শাহ মীর রাজবংশের। পরবর্তী পাঁচ শতাব্দীব্যাপী মুসলিম শাসন বজায় ছিল এই কাশ্মীরে।১৮১৯ সালে রঞ্জিত সিংহের নেতৃত্বে শিখরা কাশ্মীর দখল করে। ১৮৪৬ সালে প্রথম ইঙ্গ—শিখ যুদ্ধে ইংরেজদের নিকট শিখরা পরাজিত হয়। এরপর ১৯৪৭ সালের ভারত বিভাগের সময় অঞ্চলটি একটি বিবদমান অঞ্চলে পরিণত হয়ে ভারত, পাকিস্তান ও চিনের মধ্যে বিলীন হয়ে যায়। সেই থেকে শুরু হয় কাশ্মিরীদের দুর্দশার জীবন।
জেড নিউজ, ঢাকা।