দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসার পরই অভিভাসন নীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনে ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর থেকেই অবৈধ অভিবাসীদের ধরে নিজ দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে তারা। এমনকি কোনো কারণ ছাড়াই বিদেশি শিক্ষার্থীদের গ্রেফতার করে দেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে।
মার্চ থেকে শুরু করে অন্তত ১৭৪ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের এক হাজার ১০০ শিক্ষার্থী ভিসা কিংবা যুক্তরাষ্ট্রে থাকার বৈধতা হারিয়েছেন।
এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত আর দশজন বিদেশি শিক্ষার্থীর মতোই স্বপ্ন ভঙ্গ হয় বাংলাদেশি শিক্ষার্থী অঞ্জন রায়ের। গত ১০ এপ্রিল এক ই-মেইলের মাধ্যমে জানতে পারেন দেশটিতে অবস্থান করে পড়ালেখা করার বৈধতা হারিয়েছেন তিনি। যার ফলে, যেকোনো সময় তাকে দেশে ফেরত পাঠানো হতে পারে এমন আশঙ্কায় পড়েন। তবে এতে আশাহত না হয়ে রুখে দাঁড়ান তিনি।
ই-মেইল পাওয়ার পর তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী সেবা কার্যালয়ে যান। সেখান থেকে ডেটাবেস যাচাই করে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী হিসেবে তার বৈধতা বাতিল করার কারণ তারা জানেন না। তাৎক্ষণিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে যাওয়ার কথা ভাবলেও পরবর্তীতে আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলতে মনস্থির করেন তিনি।
এরপর এ সপ্তাহে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আদালতের রায়ে যুক্তরাষ্ট্রে নিজের অবস্থানের বৈধতা ফিরে পেয়েছেন এই শিক্ষার্থী। ফিরেছেন নিজের অ্যাপার্টমেন্টে।
আটলান্টায় ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় এই বাংলাদেশি শিক্ষার্থীসহ আরো ১৩৩ জন বাদি রয়েছেন। বিচারকরা তাদের পক্ষে রায় দিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের নির্দেশের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেছেন।
জেড নিউজ, ঢাকা ।