এক এগারো পরবর্তী পাতানো নির্বাচনে ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। এরপরই দেশে শুরু হয় বিরাজনীতিকরণ প্রক্রিয়া। হাসিনাকে আজীবন ক্ষমতায় রাখতে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধান থেকে বাতিল করা হয় তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা।
সে সময়কার প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান অপ্রাসঙ্গিক ও অসাংবিধানিক বলে আখ্যা দেন। তার অবসরের ১৬ মাস পর প্রকাশিত বিতর্কিত ওই রায়।
এদিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিলের পর দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হয়। কুৎসিত সাংস্কৃতিক যুগে প্রবেশ করে বাংলাদেশ। বিএনপি-জামায়াতসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ওই রায়ের বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলন গড়ে তুললে শুরু হয় দমন-পীড়ন আর হত্যার রাজনীতি।
খায়রুল হকের ওই দুরভিসন্ধিমূলক রায়ের পর ৩টি ভোটার ও বিরোধীদল বিহীন নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ। যা জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষের জন্ম দেয়। অবশেষে চব্বিশের বিপ্লবের মধ্য দিয়ে বিস্ফোরিত হয় জনগণের সেই পুঞ্জীভূত ক্ষোভ।তবে এতোকিছুর পরেও খায়রুল হকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে বিভিন্ন মহলে।
জেড নিউজ,ঢাকা