Sunday, April 20, 2025
More
    Homeঅর্থনীতিঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি ছাড়ের বিষয়ে আলোচনা চলবে: আইএমএফ

    ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি ছাড়ের বিষয়ে আলোচনা চলবে: আইএমএফ

    “বাংলাদেশকে করব্যবস্থা সংস্কারের বিষয়ে আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।”

    আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফের ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচির চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ ছাড়ের বিষয়ে বাংলাদেশকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানায় সংস্থাটি।

    দুই সপ্তাহের পর্যালোচনা শেষে এ বিষয়ে আরও আলোচনা চলবে জানিয়ে আইএমএফ প্রতিনিধি দল বলেছে, জুনের শেষের দিকে দুটি কিস্তির অর্থ পেতে পারে বাংলাদেশ।

    বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে আইএমএফ মিশনপ্রধান ক্রিস পাপাজর্জি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে আইএমএফ-বিশ্বব্যাংকের বসন্তকালীন বৈঠকে এ বিষয়ে আরও আলোচনা করা হবে। এ বৈঠক হবে ২১ থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত।”

    বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় আইএমএফের গবেষণা বিভাগের উন্নয়ন সামষ্টিক অর্থনীতি শাখার প্রধান পাপাজর্জিওসহ ৯ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

    চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ ছাড়ের আগে আইএমএফের দেওয়া সংস্কার প্রস্তাবগুলোর অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করছে।

    সফর শেষে ফেরার আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।

    পাপাজর্জিও মনে করেন, বাংলাদেশের রিজার্ভের পরিমাণ আইএমএফের প্রত্যাশার চেয়ে বেশি। রিজার্ভের পাশাপাশি বিনিময় হারও স্থিতিশীল রয়েছে। বিদেশি মুদ্রার বিনিময় হার আরও নমনীয় হলে অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বাড়বে বলে তিনি আশা করছেন।

    ঋণের প্রতিটি কিস্তি ছাড় করতে আইএমএফ তার আগের কিস্তির অর্থের ব্যবহার পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়। প্রয়োজনে শর্ত সংযোজন-বিয়োজন করে সংস্থাটি। তৃতীয় কিস্তি ছাড়ের সময়ে রিজার্ভ লক্ষ্যমাত্রার শর্ত শিথিল করেছিল আইএমএফ।

    এবার চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি একসঙ্গে ছাড় করতে বাংলাদেশকে মোটা দাগে কয়েকটি শর্ত অবশ্যই পূরণ করতে হবে। এর মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্ট শর্ত হচ্ছে, মুদ্রানীতির আরও সংকোচন, মুদ্রার বিনিময় হার পুরোপুরি বাজারভিত্তিক করা, নিট রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ।

    অন্যদিকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর সংশ্লিষ্ট শর্ত হচ্ছে- মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) দশমিক ৫ শতাংশ হারে বাড়তি রাজস্ব আদায়, এনবিআরের রাজস্ব নীতি থেকে রাজস্ব প্রশাসনকে আলাদা করা এবং কর ছাড় বন্ধ করা ও কর আদায় প্রক্রিয়া পুরোটা অনলাইনভিত্তিক করা।

    সরকারের আর্থিক বিভাগ সংশ্লিষ্ট শর্ত হচ্ছে, জাতীয় সঞ্চয়পত্রের উপর সুদ ভর্তুকি যৌক্তিক হারে নামিয়ে আনা। জ্বালানি মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট শর্ত হচ্ছে, জ্বালানি খাতে ভর্তুকি কমানো।

    এসব শর্ত বাস্তবায়ন পরিস্থিতি গত ডিসেম্বরে যা ছিল তা থেকে খুব একটা উন্নতি হয়নি।

    এমন প্রেক্ষাপটেই ৬ এপ্রিল থেকে বাংলাদেশে সফর শুরু করে আইএমএফ প্রতিনিধি দল। তারা ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করে।

    পাপাজর্জিও বলেন, “বাংলাদেশকে করব্যবস্থা সংস্কারের বিষয়ে আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। এছাড়া করছাড়ের সুবিধা কমিয়ে করনীতিকে আরও বেশি সহজ করতে হবে।”

    তাছাড়া রাজস্ব বৃদ্ধির টেকসই পথ খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছে আইএমএফের প্রতিনিধি দল।

    সংস্থাটি বলছে, অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারকে জোরালো ভূমিকা পালন করতে হবে। ব্যাংক খাতের স্বাস্থ্য ফিরিয়ে আনতে আইনগত সংস্কার ও কার্যকর সম্পদ মান যাচাই এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বাধীনতা ও সুশাসন জোরদারের প্রতিও গুরুত্বারোপ করে আইএমএফ।

    আইএমএফের সঙ্গে ঋণ কর্মসূচি শুরু হয় ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি। সে বছর ২ ফেব্রুয়ারি প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার পায় বাংলাদেশ। একই বছরের ডিসেম্বরে পাওয়া গেছে দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার।

    ২০২৪ সালের জুনে পাওয়া গেছে তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ডলার। তিন কিস্তিতে আইএমএফ থেকে ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। বাকি আছে ঋণের ২৩৯ কোটি ডলার।

    বিপত্তি দেখা দেয় চতুর্থ কিস্তির অর্থছাড়ের বেলায়। এই কিস্তির অর্থ ছাড়ের আগে তৃতীয় কিস্তির অর্থের ব্যবহার ও শর্ত পরিপালনের অগ্রগতি দেখতে গত ৪ থেকে ১৮ ডিসেম্বর ঢাকা সফর করে আইএমএফ মিশন।

    কথা ছিল, তৃতীয় পর্যালোচনা শেষ করে ৫ ফেব্রুয়ারি এর বোর্ড সভার পর ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে চতুর্থ কিস্তির ৬৪ দশমিক ৫ কোটি ডলার ছাড় করবে আইএমএফ। তবে সেই সভা ১২ মার্চ পর্যন্ত পিছিয়ে গেছে। ফলে চতুর্থ কিস্তি অনুমোদনের বিষয়টিও বিলম্বিত হয়।

    সেই মিশনের শুরুতে আইএমএফ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ চতুর্থ কিস্তির অর্থ চলতি বছরের ‘ফেব্রুয়ারি-মার্চের’ মধ্যে হাতে পাওয়ার সম্ভাবনার কথা শুনিয়েছিলেন।

    আন্তর্জাতিক সংস্থাটির পর্ষদের অনুমোদন পাওয়া সাপেক্ষে বাড়তি অর্থ মিলিয়ে চতুর্থ কিস্তিতে মোট ১১০ কোটি ডলার ব্যাপারে আশাবাদী ছিল সরকার।

    তবে ফেব্রুয়ারিতে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, দুটি শর্ত পূরণ না হওয়ায় বিলম্বিত আইএমএফ এর ঋণ প্যাকেজের চতুর্থ কিস্তির সঙ্গে পঞ্চম কিস্তির অর্থ জুন মাসে একসঙ্গে ছাড় হতে পারে।

    সর্বশেষ

    গাজায় স্বপ্নভঙ্গের আর্তনাদ: বোমারু বিমানে ছিন্নভিন্ন ফটো সাংবাদিক ফাতেমা

    জেড নিউজ ডেস্ক গাজার তরুণ ফটো সাংবাদিক ফাতেমা হাসসুনা জানতেন,...

    ইতিহাসের সর্বোত্তম নির্বাচন করবে অন্তর্বর্তী সরকার: প্রধান উপদেষ্টা

    প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন...

    বিএনপি নেতাকে হাতুড়িপেটার ঘটনায় জামায়াত নেতা আটক

     সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় থানা ফটকের সামনে বিএনপি নেতাকে হাতুড়িপেটার ঘটনায়...

    ইতিহাসের সর্বোত্তম নির্বাচন করবে অন্তর্বর্তী সরকার: প্রধান উপদেষ্টা

    প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন...

    আরও সংবাদ

    গাজায় স্বপ্নভঙ্গের আর্তনাদ: বোমারু বিমানে ছিন্নভিন্ন ফটো সাংবাদিক ফাতেমা

    জেড নিউজ ডেস্ক গাজার তরুণ ফটো সাংবাদিক ফাতেমা হাসসুনা জানতেন,...

    ইতিহাসের সর্বোত্তম নির্বাচন করবে অন্তর্বর্তী সরকার: প্রধান উপদেষ্টা

    প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন...

    বিএনপি নেতাকে হাতুড়িপেটার ঘটনায় জামায়াত নেতা আটক

     সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় থানা ফটকের সামনে বিএনপি নেতাকে হাতুড়িপেটার ঘটনায়...