ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের নিয়ন্ত্রণে নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে সব ব্যাংককে তিন মাস অন্তর এই ধরনের খেলাপিদের বিস্তারিত তথ্য জমা দিতে হবে বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোতে (সিআইবি)।
নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্ম তারিখ, ঋণ গ্রহণকারী শাখার নাম এবং কখন তাকে ‘উইলফুল ডিফল্টার’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে—এসব তথ্য বাধ্যতামূলকভাবে দিতে হবে। ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও প্রতিষ্ঠানের মালিকের এসব তথ্য দিতে হবে।
সেই সঙ্গে এসব ঋণগ্রহীতা শনাক্তে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তাদের নাম, মোবাইল নম্বর এবং ই–মেইল ঠিকানাও জমা দিতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক এজন্য নির্দিষ্ট ফরমেটও দিয়েছে।
এর আগে, গত বছরের ১২ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংক ইচ্ছাকৃত খেলাপি চিহ্নিতকরণে আলাদা ইউনিট গঠনের নির্দেশ দেয় এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে একটি নীতিমালা প্রকাশ করে। এবার সেই প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী ও ফলপ্রসূ করতে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে তথ্য জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা যুক্ত হলো।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর শেষে দেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা, যা মোট বিতরণ করা ঋণের ২০ দশমিক ২০ শতাংশ। বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব খেলাপির একটি বড় অংশ ইচ্ছাকৃতভাবে ঋণ না পরিশোধ করছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, এই উদ্যোগের ফলে ঋণখেলাপিদের চিহ্নিত করা আরও সহজ হবে এবং ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে এটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে