তিস্তা প্রকল্পে চীন, চিকিৎসাখাতেও চীন- এতদিন মাঠ দখলে রাখা ভারতের জন্য পড়ে রইলো কেবলই দীর্ঘশ্বাস। গ্যালারীতে বসে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করা ছাড়া আর কিছুই যেন করার নেই দেশটির।কেননা বাংলাদেশ এখন আর স্বৈরাচার হাসিনার নতজানু পররাষ্ট্রনীতিতে বিশ্বাস করেনা। নতুন এই বাংলাদেশ এখন মাথা উঁচু করে কথা বলতে শিখে গেছে।
এরইমধ্যে ড. ইউনূসের নেতৃত্বে চীনের সাথে সম্পর্ক জোরদার করে বাংলাদেশ তৈরী করেছে একাধিক বিকল্প। ড. ইউনূসের চীন সফর এবং তিস্তা প্রকল্পে চীনের সম্পৃক্ততা দু ‘দেশের সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। চীনের অংশগ্রহণে তিস্তা প্রকল্পের বাস্তবায়ন গতি ফিরে পাচ্ছে, যা বাংলাদেশের জন্য এক নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করছে।
শুধু তিস্তা নয়, বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতেও চীনের সহযোগিতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই ১০০০ শয্যার আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে চীন সরকার, যা বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে উপহার হিসেবে দেওয়া হবে। এই হাসপাতাল নির্মাণের জন্য নীলফামারী, রংপুর ও দিনাজপুরের মাঝামাঝি ১২ একর জমি বরাদ্দের প্রক্রিয়া চলছে।
চীনের এই সম্পৃক্ততা ভারতের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এতদিন বাংলাদেশের উপর ভারত একচ্ছত্র প্রভাব বজায় রেখে এসেছে, কিন্তু এখন চীন তিস্তার মতো কৌশলগত প্রকল্পে সরাসরি হস্তক্ষেপ করায় দিল্লির পরিকল্পনা ভেস্তে যাচ্ছে। নেপাল ও ভুটানের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গেও ভারতের সম্পর্ক টানাপোড়েনের মধ্যে আছে, যা বাংলাদেশের জন্য সুযোগ তৈরি করেছে।
জেড নিউজ, ঢাকা।