৫-১ গোলের পরিষ্কার ব্যবধান থেকে ৫-৪ গোলের তুমুল উত্তেজনা। ম্যাচের বয়স তখন ৫৭ মিনিট। রোমাঞ্চে টইটম্বুর পরিস্থিতি। তবে অ্যাস্টন ভিলার চোখরাঙানি সামলে শেষ পর্যন্ত সেই ব্যবধান ধরে রাখতে পারল পিএসজি। ম্যাচ হেরেও সেমিতে যেতে পারল তারা গোলকিপার জানলুইজি দোন্নারুম্মার বীরত্ব ও রক্ষণভাগের পারফরম্যান্সে। তবে এই ম্যাচ হেরে গেলেও তৃপ্তির কমতি নেই লুইস এনরিকের। পিএসজি কোচের চোখে, বিশ্বের সেরা স্কোয়াড তাদেরই।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার-ফাইনালে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের পর শেষ চারে পৌঁছে যায় পিএসজি। প্রথম লেগে ঘরের মাঠে ৩-১ গোলে জয়ী দল মঙ্গলবার দ্বিতীয় লেগে অ্যাস্টন ভিলার মাঠে ২৭ মিনিটের মধ্যে গোল করে আরও দুটি। একতরফা সমাপ্তির অপেক্ষাই ছিল তখন। তবে হারার আগে হার মানতে চায়নি অ্যাস্টন ভিলা। একে একে তারা ফিরিয়ে দেয় তিনটি গোল!
ম্যাচের নির্ধারিত সময় তখনও আধ ঘণ্টার বেশি বাকি। প্রত্যাবর্তনের স্বপ্ন তাই ভিলার দেখারই কথা। তবে বাধা হয়ে দাঁড়ান দোন্নারুম্মা। দ্বিতীয়ার্ধে অসাধারণ পারফরম্যান্সে দলকে দফায় দফায় রক্ষা করেন ইতালিয়ান গোলকিপার। দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৪ গোলের অগ্রগামিতায় সেমি-ফাইনাল নিশ্চিত করে ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা।
ম্যাচের পর দোন্মারুম্মার পারফরম্যান্স নিয়েই জিজ্ঞেস করা হয় পিএসজি কোচকে। তিনি তুলে ধরলেন তার গোটা দলকেই।
“শুধু গোলকিপারই নয়, আমার মনে হয়, আমার গোটা স্কোয়াডই বিশ্বের সেরা। পিএসজির মতো একটি ক্লাবে মানসম্পন্ন ফুটবলার আছে অনেক।”
“যদি দুই ম্যাচ মিলিয়ে (দুই লেগ) বিবেচনা করুন, জয় অবশ্যই আমাদেরই প্রাপ্য ছিল…। আমি খুবই খুশি, কারণ সমর্থকদের আরেকটি সেমি-ফাইনাল উপহার দিতে পেরেছি।”
নিজেদের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্টির পাশাপাশি অবশ্য লড়াইয়ের জন্য প্রতিপক্ষকেও কৃতিত্ব দিলেন এনরিকে।
“ম্যাচটি দারুণভাবে শুরু করেছি আমরা, দুটি অসাধারণ গোল করেছি, ফাঁকা জায়গার সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করেছি।”
“তবে ভুলে গেলে চলবে না, এটা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এবং প্রতিপক্ষের মানও এখানে কম নয়। দ্বিতীয়ার্ধে অ্যাস্টন ভিলা প্রবল তাড়না নিয়ে খেলেছে। প্রথম ম্যাচ হেরে যাওয়ায় এবং এখানে প্রথমার্ধে আরও পিছিয়ে পড়ায় তাদের হারানোর কিছু ছিল না। সেভাবেই খেলেছে তারা।”