প্রথম থেকেই কেন্দ্রের ওয়াকফ বিলের প্রতিবাদে করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সংসদের ভেতরে ও বাইরে এই ইস্যুতে লাগাতার আন্দোলন করেছেন তৃণমূল সংসদেরা। গোটা বাংলা জুড়ে চলছে ওয়াকফ প্রতিবাদ। এবার সেই ওয়াকফ বিলের প্রতিবাদ সভা হতে চলেছে নেতাজি ইন্ডোরে।। সেখানে মূল বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এ কথা জানিয়েছেন পুর ও নগর উন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, এই সভায় ওয়াকফ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করবেন। সভায় উপস্থিত থাকবেন সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্টরা। আগামী ১৬ এপ্রিল হবে এই সভা। ওয়াকফ বিল নিয়ে বিজেপি সরকার যেভাবে প্রথম থেকেই গা জোয়ারি করেছে এবং মধ্যরাতে ওয়াকফ বিল পাশ করিয়েছে তা নজিরবিহীন।
গোটা দেশ জুড়ে বিজেপির বিরুদ্ধে ধিক্কার রব উঠেছে। বিজেপির এই একপেশে রাজনীতি আর কত দিন— উঠছে সেই প্রশ্নও। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মুখে বলছেন সংখ্যালঘুদের সম্পত্তি সুরক্ষিতই থাকবে। কিন্তু তাঁর এই ছেঁদো আশ্বাসে চিঁড়ে ভিজছে না। তার কারণ, উগ্র হিন্দুত্ববাদের রাজানীতির পোস্টার বয়েরা ওয়াকফ বিল নিয়ে আন্তরিকতার দরদ দেখাবেন একথা এখনও বিশ্বাস করে না দেশবাসী। ফলে ক্ষোভ-বিক্ষোভ-প্রতিবাদ-ধরনা চলছেই।
এই অবস্থায় চলতি মাসের ১৬ তারিখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতাজি ইনডোরের সভা থেকে কী বার্তা দেন, সেদিকেই তাকিয়ে আছেন সকলে। গত কয়েকদিন ধরেই ওয়াকফ ইস্যুতে সরগরম গোটা রাজ্য। রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর সামনে এসেছে। জাতীয় সড়ক ও রেল পথ অবরোধ। বাস, বাইক, গাড়ি ভাঙচুর ও আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠেছে।
এই পরিস্থিতিতে বিরোধী রাজনৈতিক দল, বিশেষ করে বিজেপি এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। আবার আগামী ২০ তারিখ থেকে ওয়াকফ ইস্যুতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এই আইনের উদ্দেশ্য জানিয়ে ময়দানে নামতে চলেছেন বলে সূত্রের খবর। গত বুধবার অবশ্য ওয়াকফ ইস্যুতে বার্তা দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছিলেন, “সংখ্যালঘুদের বলছি, আপনাদের ওয়াকফ নিয়ে দুঃখ হয়েছে বুঝতে পারছি। আপনারা সবাই একসাথে বাঁচার কথা বলুন। কেউ কেউ রাজনৈতিক প্ররোচনা দেয়। আমি বলছি, ‘দিদি’ আছে আপনাদের। দিদি আপনাদের রক্ষা করবে। আপনাদের প্রপার্টি রক্ষা করবে। কেউ উস্কানিতে পা দেবেন না।”