বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভিন্ন সময় সেনাবাহিনীর ভূমিকা আলোচনায় এসেছে। তবে জুলাই গণ অভ্যুত্থানের ছাত্র নেতৃত্বের একজনের প্রকাশ্য বক্তব্য থেকে এবার রাজনীতি ঘিরে সেনাবাহিনীর ভূমিকা আলোচনায় এসেছে অনেকটা খোলামেলাভাবে।
রাজনীতি ও পেশাদার সেনাবাহিনীসহ সশস্ত্র বাহিনীর দুটি আলাদা জগত হওয়ার কথা। কিন্তু রাজনীতিতে প্রভাব বা রাজনীতি নিয়ে রাজনীতিকদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর যোগাযোগ কেন থাকবে, সমস্যাটা কোথায় রাজনীতির দূর্বলতা নাকি ব্যর্থতা, এসব প্রশ্ন উঠছে।
বিভিন্ন সময় ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধেও সেনাবাহিনীকে ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করেন, বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলগুলোর বিরোধ, পরস্পরের প্রতি অসহিষ্ণুতা ও ব্যর্থতার কারণে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী হয়নি।
ফলে গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রুপ পায়নি। আর সেটাই রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর ভূমিকার রাখার সুযোগ তৈরি করে।
এই পরিস্থিতিকে কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোও অস্বীকার করছে না।
বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের নেতারা বলছেন, রাজনীতিকদের ব্যর্থতা এবং কিছু ক্ষেত্রে অদক্ষতার কারণে গণতন্ত্র এখনও দুর্বল অবস্থায় রয়ে গেছে।
এছাড়াও রাজনীতিক ও বিশ্লেষকেরা মনে করেন, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের ক্ষমতা আঁকড়ে রাখার চেষ্টাও বিভিন্ন সময় দৃশ্যমান হয়েছে। সে কারণে অনেক সময় রাজনৈতিক শূন্যতাও তৈরি হয়েছে।
আর সেটাই ভিন্ন সুযোগ তৈরি করে থাকে।