প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন।
শনিবার (২২ মার্চ) যমুনায় কমিশনের সদস্যরা প্রতিবেদন জমা দেন। এরপর কমিশন প্রধান ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক কামাল আহমেদ এক ব্রিফিংয়ে প্রতিবেদনের বিস্তারিত তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, গণমাধ্যমের এই অবস্থা একদিনে তৈরি হয়নি। দীর্ঘদিনের চলে আসা প্রক্রিয়ার কারণে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা বর্তমান নাজুক অবস্থায় এসেছে। গণমাধ্যমে কালো টাকা ঢুকেছে। মালিকরা কিভাবে মালিক হয়েছে আমরা তা জানি না। রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনায় লাইসেন্স দেয়া হয়েছে।
কমিশনের প্রতিবেদন দেওয়ার নির্ধারিত সময় ছিল ৩১ মার্চ পর্যন্ত। গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ কিছুদিন আগে সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, সারা দেশে মতবিনিময় এবং জরিপের মাধ্যমে মানুষের কাছ থেকে যেসব মতামত এসেছে সেগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে তারা সুপারিশমালা তৈরি করছেন।
গত নভেম্বরে গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন বিষয়ে পাঁচটি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছিল। তাদের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা ৩১ মার্চ।
এর আগে গঠিত ছয়টি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন ইতিমধ্যে জমা দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো সংবিধান, বিচার বিভাগ, নির্বাচনব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, পুলিশ ও দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন।