জেড নিউজ, ঢাকা।
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সুখবিলাসের জন্য পুরোপুরি পালটে দেওয়া হয়েছিল নিকুঞ্জের চেহারা। বঙ্গভবনে ১০ বছরেরও বেশি সময় কাটিয়ে ২০২৩ সালের এপ্রিলে রাজধানীর অন্যতম অভিজাত এলাকা নিকুঞ্জের বাড়িতে ওঠেন তিনি।
রাষ্ট্রপতিকে খুশি করতে রীতিমতো ঢেলে সাজানো হয় চারপাশ। ফুলবাগান, ওয়াকিং ওয়ে ছাড়াও নির্মাণ করা হয় পরিপাটি রাস্তা। পরিত্যক্ত নিকুঞ্জ খাল হয়ে ওঠে পদ্মফোটা দৃষ্টিনন্দন লেক।
বাড়ির সামনের খালটি সংস্কারের জন্য দুহাতে টাকা ঢালে ফ্যাসিস্ট সরকার। এমনকি প্রকল্পের অংশ না হলেও পূর্বাচল নতুন শহর ঘিরে একশ ফুট চওড়া খাল খনন প্রকল্পের আওতায় খালটি সংস্কার করা হয়। রাজউকের তত্ত্ববাধানে প্রকল্প বাস্তবায়ন করে সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড। এতে ২৪ কোটি টাকারও বেশি অর্থ খরচ করা হয়।
তবে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর আলোচিত বাড়িটি এখন পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে আছে। বাড়ির প্রধান ফটক ভেতর থেকে বন্ধ। ভেতরে নেই কারও সাড়াশব্দ।বর্তমানে প্রায় প্রতিদিন দেশের দূরদূরান্ত থেকে উৎসুক জনতা একনজর হামিদের বাড়িটি দেখতে আসছেন। তাদের কেউ ছবি তুলছেন। কেউবা বাড়িসহ আশপাশের এলাকার ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করছেন।