আব্দুল হামিদ। ছিলেন একটানা দুই বারের রাষ্ট্রপতি। আওয়ামী রাজনীতিতে কিছুটা ভিন্ন চোখে দেখা হতো। তবে তিনিও যে অন্যদের থেকে তেমন আলাদা ছিলেন না- তার প্রমান রেখে গেছেন। নিজ পরিবারের খায়েশ মেটাতে ধংস করেছেন রাষ্ট্রের কাড়ি কাড়ি টাকা। অপ্রয়োজনীয় উন্নয়ন দিয়ে ধংস করেছেন বিস্তীর্ণ হাওর। তার লোভের কাছে এখন ধরাশায়ী কিশোরগঞ্জের কৃষি ও জীববৈচিত্র।
বুধবার প্রকাশিত একটি জাতীয় দৈনিকের খবরে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ পরিবারের ইচ্ছে পূরণে ৯০০ কোটি টাকার ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম অলওয়েদার সড়কটি এখন হাওরবাসীর গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়াও ওই সড়ককে কেন্দ্র করে আরো ৫ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেওয়া হয় যা নিয়ে এখন বিপাকে রয়েছে অন্তবর্তী সরকার।
খবরে বলা হয়, ওয়েদার ধংস করা অলওয়েদার সড়কে প্রতিদিন ২৬ হাজার যানবাহন চলাচল করবে যা থেকে টোল আদায় হবে পদ্মা সেতুর চেয়েও বেশি- প্রকল্প প্রস্তাবনায় এমন ধারণা দেওয়া হলেও পরিস্থিতি সম্পূর্ণ উল্টো। বরং এর বিরুপ প্রভাবে ইতিমধ্যে কমেছে হাওরে ধান ও মাছের উৎপাদন। দেখা দিচ্ছে বন্যা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কেবল এই সড়ক প্রকল্পটিই নয়, ক্ষমতায় থাকতে হাওরের মধ্যে তিনি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় ও সেনা নিবাস। বিস্তীর্ণ ফসলের জমি নষ্ট করে গড়ে ওঠা বিশাল আকারের এই প্রকল্প গুলির কারনে কৃষিতে বিরুপ প্রভাব পড়েছে। দেশের মোট খাদ্য নিরাপত্তার জন্যও হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে আব্দুল হামিদের খায়েশের এই প্রকল্পগুলো।
জেড নিউজ, ঢাকা।