আর নয় আমদানি, এবার দেশের মাটিতেই উৎপাদন হচ্ছে সয়াবিন তেল। প্রায়ই বাজারে সয়াবিন তেলের সংকট তৈরী করে ফায়দা লুটে নেয় অসাধু ব্যবসায়ীরা। তখন চাহিদা পূরনে তেল আমদানি ব্যয় মেটাতে হিমশিম খেতে হয় বাংলাদেশ সরকারকে। ভারত, চীন, ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা হয় সয়াবিন তেল। যার ফলে বিপুল পরিমান টাকা চলে যায় বিদেশে। তাই এবার ভোজ্য তেলের এই হাহাকার ও সংকট দূর করবে বরিশাল ও ভোলা।
বরিশাল বিভাগে সবচেয়ে বেশি সয়াবিন চাষ হয় বরিশাল ও ভোলা জেলায়। ইতোমধ্যেই বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় চলতি মৌসুমে ২৭ হাজার ৪৪ হেক্টর জমিতে সয়াবিন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৪ হাজার ৬১২ টন। এছাড়া, পিরোজপুরে ১০ হেক্টর জমির বিপরীতে ১০ টন, ঝালকাঠিতে ১৪ হেক্টর জমির বিপরীতে ১৮ টন, পটুয়াখালীতে ১৫ হেক্টর জমির বিপরীতে ২৭ টন, বরগুনায় পাঁচ হেক্টর জমির বিপরীতে ৭ টন, ভোলা জেলায় ১০ হাজার হেক্টর জমির বিপরীতে ১৬ হাজার ৫০০ টন।
সয়াবিন বীজ ও সার কিভাবে সংরক্ষন ও ব্যবহার করতে হয় সে ব্যাপারে চাষীদের পরামর্শ ও সহযোগীতা করছে কৃষি কর্মকর্তারা। ফলে দিন দিন সয়াবিনের ফলন ও আবাদ বাড়ছে বরিশাল বিভাগে। এভাবে চললে খুব শিগগিরই আমদানি কমিয়ে দেশেই পর্যাপ্ত সয়াবিন তেল উৎপাদন করা যাবে বলে ধারনা সংশ্লিষ্টদের।
জেড নিউজ, ঢাকা।