জেড নিউজ , ঢাকা
আওয়ামী অপশাসনের পতনের পর দেশের ক্রান্তিলগ্নে মানুষের পাশে এসে দাঁড়ায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। একটি অন্তর্বতী সরকার গঠনের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে দেশকে এক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির হাত থেকে রক্ষা করে। দেশব্যপি শুরু হওয়া পলাতক ফ্যাসিস্টদের নানা ষড়যন্ত্র ও সহিংসতা দমন পুলিশের পক্ষে যখন কঠিন হয়ে পড়ে তখন দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে এগিয়ে আসে সেনাবাহিনী। মনোবল ভেঙ্গে পড়া পুলিশ বাহিনীকে সার্বক্ষনিক সহযোগিতার মাধ্যমে আইন-শৃংখলা ফেরাতে অগ্রনী ভুমিকা ছিলো তাদের।
আগস্ট পরবর্তী সহিংসতা যখন বেড়েই চলেছিলো সেসময় সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে মাঠে নামানো হলে আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়। পরবর্তীতে যৌথ অভিযানের মাধ্যমে সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজ-অপরাধীদের ধরতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ অভিযানের মাধ্যমে প্রতিদিনই সারাদেশে অপরাধীদের চিহ্নিত ও আটক করা হচ্ছে, যা জনজীবনে স্বস্তি ফেরাতে কাজ করছে।
এছাড়া দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করে যাচ্ছে।সেনাপ্রধানের দিকনির্দেশনা অনুসারে দেশের বিভিন্ন জেলায় সেনাসদস্যরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অন্তর্র্বতী সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, স্থানীয় প্রশাসন, বিভিন্ন সংস্থা, গণমাধ্যম ও সাধারণ জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক সক্রিয় দায়িত্ব পালন করছেন।