জেড নিউজ, ঢাকা।
আবরার ফাহাদ, কুষ্টিয়া থেকে এসে ভর্তি হয়েছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়-বুয়েটে। মন ও মগজে শতভাগ ছিলেন বাংলাদেশি। আওয়ামী লীগের আমলে একের পর এক দেশ বিরোধী চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হতে থাকলে সামাজিক মাধ্যমে প্রতিবাদ মুখর হয়ে ওঠেন তিনি। আর তার এই প্রতিবাদই প্রতিহিংসার আগুন জ্বেলে দেয় আওয়ামী শিবিরে।
প্রতিহিংসার চূড়ান্ত রূপ দিতে ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর, বুয়েটের শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে তাকে ডেকে নেয় ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। তারপর রাতভর নির্মম নির্াতন করে হত্যা করা হয় আবরার ফাহাদকে।বিপ্লবের কবি সুকান্ত যে বয়সে মারা যান সেই ২১ বছর বয়সেই শহীদ হন একুশ শতকের আরেক বিপ্লবী আবরার ফাহাদ। এতো অল্প বয়সেই যিনি বুঝেছিলেন ভারতই এদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের জন্য প্রধান প্রতিবন্ধক।
চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান যে ছাত্রদের হাত ধরে সংঘটিত হলো তার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে আবরার ফাহাদের ওই হত্যাকান্ড। যে কারনে আবরার ফাহাদকে বলা হয় চব্বিশের দ্বিতীয় স্বাধীনতার প্রথম শহীদ। আর দেশ ও দেশের মানুষের জন্য জীবন উৎসর্গ করায় তাই তাকে ভূষিত করা হচ্ছে মরণোত্তর স্বাধীনতা পদকে।
বিষয়টি নিজের ফেইসবুক পোস্টেই জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।