Saturday, May 24, 2025
More
    Homeলিড নিউজজামায়াত নেতা আজহারের রিভিউ শুনানি ফের বুধবার

    জামায়াত নেতা আজহারের রিভিউ শুনানি ফের বুধবার

    মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের প্রথম দিনের শুনানি শেষ হয়েছে। পরবর্তী শুনানির জন্য আগামীকাল (২৬ ফেব্রুয়ারি) দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।

    মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ শুনানির জন্য এদিন ধার্য করেন।

    জামায়াত নেতা আজহারের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিকী। তাকে সহযোগিতা করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির, ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন।

    এর আগে সকাল ১০টা ১৭ মিনিটে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের শুনানি শুরু হয়।

    এর আগে ২৩ ফেব্রুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের শুনানির জন্য মঙ্গলবার ধার্য করেন আপিল বিভাগ। বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ শুনানির জন্য এদিন ধার্য করেন।

    এ সময় চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, জামায়াত নেতা আজহারের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির উপস্থিত ছিলেন।

    অ্যাটর্নি জেনারেল আপিল বিভাগে বলেন, গত ২০  ফেব্রুয়ারি এটিএম আজহারের রিভিউ আবেদনটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় ছিল। কিন্তু ওইদিন শুনানি হয়নি। রিভিউ আবেদনটি শুনানি হওয়া প্রয়োজন। আদালত বিষয়টি শুনানির জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন।

    গত ২৩ জানুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের শুনানি পিছিয়ে  ২০ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ।

    প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৪ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বেঞ্চে এক বিচারপতি না থাকায় আদালত শুনানির দিন পিছিয়ে দেন।

    ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।

    তখনকার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ রায় দেন। পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করেন জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলাম।

    ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আজহারকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

    মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রংপুর অঞ্চলে ১২৫৬ ব্যক্তিকে গণহত্যা-হত্যা, ১৭ জনকে অপহরণ, একজনকে ধর্ষণ, ১৩ জনকে আটক, নির্যাতন ও গুরুতর জখম এবং শতশত বাড়ি-ঘরে লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের মতো নয় ধরনের ছয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয় এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগের মধ্যে ১ নম্বর বাদে বাকি পাঁচটি অভিযোগে তাকে ট্রাইব্যুনাল মৃত্যুদণ্ড দেন। যদিও এটি প্রহসনের রায় বলে আখ্যায়িত করে আসছে জামায়াতে ইসলামী।

    ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি ১১৩ যুক্তিতে জামায়াত নেতা আজহারকে নির্দোষ দাবি করে খালাস চেয়ে আপিল করেন তার আইনজীবীরা। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় ৯০ পৃষ্ঠার মূল আপিলসহ ২৩৪০ পৃষ্ঠার আপিল দাখিল করা হয়।

    সর্বশেষ

    সরকারের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বিএনপি-জামায়াত

    বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনেকটাই অস্থিতিশীল। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ...

    দু’টি মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার

    অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী...

    গাজীপুরে গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকটে ব্যহত হচ্ছে উৎপাদন

    গাজীপুরে কারখানাগুলোয় গ্যাস সংকট থাকায় মারাত্মকভাবে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।...

    অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার পুরোপুরি সম্ভব নয় : গভর্নর

    বাংলাদেশের অর্থনীতি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক...

    আরও সংবাদ

    সরকারের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বিএনপি-জামায়াত

    বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনেকটাই অস্থিতিশীল। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ...

    দু’টি মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার

    অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী...

    গাজীপুরে গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকটে ব্যহত হচ্ছে উৎপাদন

    গাজীপুরে কারখানাগুলোয় গ্যাস সংকট থাকায় মারাত্মকভাবে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।...