জেড নিউজ, ঢাকা।
কিশোর বয়সে গরু চরাতেন মাঠে। দুধ বিক্রির টাকায় করেছেন লেখাপড়া। অন্যের ঘরে থেকেছেন জায়গীরও। দারিদ্রতার এমন চোখ ছল ছল করা গল্প শুনে নিশ্চয়ই চিনে ফেলেছেন লোকটি আর কেউ নন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান।
তবে এই রাখাল রাজার আমলেই বাংলাদেশ ব্যাংকে ঘটে ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ লুটপাটের ঘটনা। নীতিবহির্ভুত ভাবে লোন দিয়ে খালি করা হয় অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংকও।
কেবল আতিউর রহমানই নন, একই কাজ চলে গভর্নর ফজলে কবির ও আব্দুর রউফ তালুকদারের আমলেও। তাদের এমন সীমাহীন লুটপাটের কারনে ভেঙে পড়ে দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা।
সোমবার একটি জাতীয় দৈনিকের খবরে বলা হয়, ২০০৯ সালের পহেলা মে থেকে ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের দায়িত্ব পালন করেন আতিউর রহমান। উত্তরাধিকার সূত্রে একটি শক্তিশালী ব্যাংক খাত পেলেও তার অদক্ষতা, ব্যবস্থাপনাগত দুর্বলতা, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বকীয়তাকে খর্ব করা, ঋণখেলাপিদের সুবিধা দেওয়ায় খাতটি ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ে। তিনিই মূলত ব্যাংক খাত ধ্বংসের মূলহোতা। তার সময়েই ব্যাংকের সব সূচকের অবনতি ঘটে।
এর পর ফজলে কবীরও তার দেখানো পথে হাটেন। সর্বশেষ আব্দুর রউফ তালুকদার দুর্নীতিতে ছাড়িয়ে যান তার পূর্বসূরীদেরও। যে কারনে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মুখে হাসিনার দেশ ছেড়ে পালানোর পূর্বেই অবস্থা বেগতিক দেখে সটকে পড়েন তিনি। বর্তমানে লুটেরা এই গভর্নর রউফ তালুকদার কোথায় আছেন, কেমন আছেন- কেউ জানে না।