জেড নিউজ, ঢাকা।
জুলাই-আগষ্ট গণহত্যা! ১৬ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র–জনতার গণঅভুত্থানের সময় শেখ হাসিনার নির্দেশে চালানো হয় দমনপীড়ন ও হত্যাকাণ্ড। বিতর্কিত কোটা পদ্ধতি পুনর্বহাল ও ব্যাপক গণঅসন্তোষের জের ধরে এই গণহত্যা অভিযান পরিচালনা করে আওয়ামী লীগ সরকার। এতে অংশ নেয় ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এই গণহত্যার শিকার হয় আন্দোলনকারী ছাত্র, পথচারী ও শিশুরাও। এছাড়া আহত হয় হাজার হাজার মানুষ।পতনের কিছুদিন আগে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে আহতদের দেখতে গিয়ে চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ নির্দেশ দিয়েছিলেন সাবেক ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা। যার প্রমাণ প্রসিকিউশনের হাতে এসেছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম। রোববার আদালতে পূর্বনির্ধারিত বিষয়ে শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন অফিসের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের এ কথা জানান তিনি।
কর্তব্যরত চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে আহতদের কোন চিকিৎসা না দিতে এবং কাউকে এখান থেকে বাইরে না যেতে দিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিলো।’চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘রোগীদের পাশাপাশি এই নির্দেশাবলীর কথা সেখানকার ডাক্তাররাও আমাদেরকে জানিয়েছেন। এর তথ্য প্রমাণাদি আমাদের হাতে আছে, আমরা সেটাই আদালতকে জানিয়েছি।’