Saturday, May 24, 2025
More
    Homeলিড নিউজবিগত সরকার আইয়ামে জাহেলিয়া প্রতিষ্ঠা করে গেছে, আয়নাঘর পরিদর্শনের পর প্রধান উপদেষ্টা

    বিগত সরকার আইয়ামে জাহেলিয়া প্রতিষ্ঠা করে গেছে, আয়নাঘর পরিদর্শনের পর প্রধান উপদেষ্টা

    জেড নিউজ, ঢাকা:

    জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকার দেশে ‘আইয়ামে জাহেলিয়া (অন্ধকার যুগ)’ প্রতিষ্ঠা করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

    বুধবার গোপন বন্দিশালা পরিদর্শন শেষে অধ্যাপক ইউনূস এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আইয়ামে জাহেলিয়া বলে একটা কথা আছে না, গত সরকার আইয়ামে জাহেলিয়া প্রতিষ্ঠা করে গেছে। এটা (গোপন বন্দিশালা) তার একটি নমুনা।’
    অধ্যাপক ইউনূস উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ভুক্তভোগী ও সাংবাদিকদের নিয়ে গোপন বন্দিশালা পরিদর্শন করেন। এসব বন্দিশালা ‘আয়নাঘর’ নামে পরিচিতি পেয়েছে। গোপন বন্দিশালাগুলো আগারগাঁও, কচুক্ষেত ও উত্তরা এলাকায় বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
    বন্দিশালা ঘুরে দেখে অধ্যাপক ইউনূস সাংবাদিকদের বলেন, ‘বীভৎস দৃশ্য। নৃশংস জিনিস হয়েছে এখানে।’ তিনি বলেন, ‘যতটাই শুনি মনে হয়, অবিশ্বাস্য, এটা কি আমাদেরই জগৎ, আমাদের সমাজ? যাঁরা নিগৃহীত হয়েছেন, তাঁরাও আমাদের সমাজেই আছেন। তাঁদের মুখ থেকে শুনলাম। কী হয়েছে, কোনো ব্যাখ্যা নেই।’
    অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের বিনা কারণে, বিনা দোষে উঠিয়ে আনা হতো। সন্ত্রাসী বা জঙ্গি বলে এখানে ঢুকিয়ে রাখা হতো। তিনি বলেন, ‘এই রকম টর্চার সেল (নির্যাতনকেন্দ্র) সারা দেশে আছে। ধারণা ছিল, এখানে কয়েকটা আছে। এখন শুনছি বিভিন্ন ভার্সনে (সংস্করণে) দেশজুড়ে আছে। সংখ্যাও নিরূপণ করা যায়নি।’
    মানুষকে সামান্যতম মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘একজন বলছিলেন, খুপরির মধ্যে রাখা হয়েছে। এর থেকে তো মুরগির খাঁচাও বড় হয়। বছরের পর বছর এভাবে রাখা হয়েছে।’
    সমাজকে এসব থেকে বের করে না আনা গেলে সমাজ টিকবে না বলে উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি নতুন সমাজ গড়া, অপরাধীদের বিচার করা ও প্রমাণ রক্ষার ওপর জোর দেন।
    গুমের শিকার ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণসংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ন্যায়বিচার যেন পায়, সেটা এখন প্রাধান্য। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা নতুন বাংলাদেশ ও নতুন পরিবেশ গড়তে চাই। সরকার সে লক্ষ্যে বিভিন্ন কমিশন করেছে। যে ঘটনাগুলো ঘটেছে, তার পুনরাবৃত্তি যেন না হয়, সরকার সে লক্ষ্যে কাজ করবে।’
    প্রধান উপদেষ্টা গোপন বন্দিশালা পরিদর্শনের সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

    সর্বশেষ

    সীমান্তে আটক ২৪ বাংলাদেশিকে ফেরত আনল বিজিবি

    কাজের সন্ধানে ভারতের দিল্লিতে গিয়ে ফিরে আসার সময় বিএসএফের...

    পৃথিবীর কোন কোন অঞ্চলে মশা নেই এবং কেন নেই

    পৃথিবীর গুটিকয় অঞ্চল, যেখানে মশা নেই, তার মধ্যে আইসল্যান্ড অন্যতম এর মূল কারণ সেখানকার জলবায়ু ও পরিবেশগত অবস্থা।মশা বিভিন্ন কারণেই আইসল্যান্ডে ঘাঁটি গাড়তে সক্ষম হয়নি। প্রথমত, এই অঞ্চলে প্রাকৃতিকভাবে অন্য অঞ্চল থেকে মশা আসতে পারেনি।  দ্বিতীয়ত, এই অঞ্চলের পরিবেশ মশা টিকে থাকার জন্য অনুকূল নয়।  মশার বংশবিস্তারের জন্য উষ্ণ ও বদ্ধ পানির প্রয়োজন। কিন্তু আইসল্যান্ডে এমন পানির উৎস খুবই সীমিত। যদি আইসল্যান্ডে কোনোভাবে মশা চলেও আসে, তাহলে ঠান্ডা আবহাওয়া ও বংশবিস্তারের জন্য অনুকূল পরিবেশের অভাবে নিজেদের পূর্ণাঙ্গ জীবনচক্র সম্পন্ন করার জন্য রীতিমতো যুদ্ধ করে টিকে থাকতে হবে। কিছু গবেষণা থেকে ধারণা করা যায়, এ ক্ষেত্রে আইসল্যান্ডের মাটির গঠনেরও কিছু ভূমিকা আছে। অনেকে বিশ্বাস করেন, আইসল্যান্ডে যেহেতু পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ ভ্রমণ করেন, তাই সেখানে মশা গেলেও যেতে পারে।কিন্তু মশা সেখানে টিকতে পারবে নাতাত্ত্বিকভাবে, মশা হয়তোবা একসময় সেখানকার পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেবে। কিন্তু বাস্তবে তা সহজে সম্ভব হবে না।  বাস্তবে তেমন কিছু ঘটতে হলে সেখানকার পরিবেশে বেশ কিছু পরিবর্তন আসতে হবে।

    রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি পান কাজী নজরুল ইসলাম

    ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের...

    ইচ্ছে হলে ১৫ দিনে ওজন কমাতে পারি: ঐশ্বরিয়া

    একজন নারীর শরীরে মাতৃত্বের পর যে পরিবর্তন আসে, তা...

    আরও সংবাদ

    সীমান্তে আটক ২৪ বাংলাদেশিকে ফেরত আনল বিজিবি

    কাজের সন্ধানে ভারতের দিল্লিতে গিয়ে ফিরে আসার সময় বিএসএফের...

    পৃথিবীর কোন কোন অঞ্চলে মশা নেই এবং কেন নেই

    পৃথিবীর গুটিকয় অঞ্চল, যেখানে মশা নেই, তার মধ্যে আইসল্যান্ড অন্যতম এর মূল কারণ সেখানকার জলবায়ু ও পরিবেশগত অবস্থা।মশা বিভিন্ন কারণেই আইসল্যান্ডে ঘাঁটি গাড়তে সক্ষম হয়নি। প্রথমত, এই অঞ্চলে প্রাকৃতিকভাবে অন্য অঞ্চল থেকে মশা আসতে পারেনি।  দ্বিতীয়ত, এই অঞ্চলের পরিবেশ মশা টিকে থাকার জন্য অনুকূল নয়।  মশার বংশবিস্তারের জন্য উষ্ণ ও বদ্ধ পানির প্রয়োজন। কিন্তু আইসল্যান্ডে এমন পানির উৎস খুবই সীমিত। যদি আইসল্যান্ডে কোনোভাবে মশা চলেও আসে, তাহলে ঠান্ডা আবহাওয়া ও বংশবিস্তারের জন্য অনুকূল পরিবেশের অভাবে নিজেদের পূর্ণাঙ্গ জীবনচক্র সম্পন্ন করার জন্য রীতিমতো যুদ্ধ করে টিকে থাকতে হবে। কিছু গবেষণা থেকে ধারণা করা যায়, এ ক্ষেত্রে আইসল্যান্ডের মাটির গঠনেরও কিছু ভূমিকা আছে। অনেকে বিশ্বাস করেন, আইসল্যান্ডে যেহেতু পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ ভ্রমণ করেন, তাই সেখানে মশা গেলেও যেতে পারে।কিন্তু মশা সেখানে টিকতে পারবে নাতাত্ত্বিকভাবে, মশা হয়তোবা একসময় সেখানকার পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেবে। কিন্তু বাস্তবে তা সহজে সম্ভব হবে না।  বাস্তবে তেমন কিছু ঘটতে হলে সেখানকার পরিবেশে বেশ কিছু পরিবর্তন আসতে হবে।

    রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি পান কাজী নজরুল ইসলাম

    ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের...