জেড নিউজ, ঢাকা।
ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন যখন ২০ জানুয়ারি সমস্ত মার্কিন বৈদেশিক সহায়তা স্থগিত করার ঘোষণা দেয়, তখন বহিষ্কৃত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে কাজ করা বৈশ্বিক নেটওয়ার্কগুলো তা শুনে আনন্দিত হয়েছিল। নয়া দিল্লির নির্দেশে কাজ করা ভারতীয় ডানপন্থী মিডিয়া ভাষ্যকারদের এই নেটওয়ার্কটি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি নতুন ট্রাম্প সরকারের অসন্তুষ্টির চিহ্ন হিসেবে এই পদক্ষেপকে চিহ্নিত করতে শুরু করে।
কিন্তু শিগগিরই তারা বুঝতে পারে যে, বাংলাদেশই একমাত্র নয়, দক্ষিণ এশিয়ার আরও কয়েকটি দেশ ট্রাম্প প্রশাসনের তথাকথিত ‘মার্কিন বৈদেশিক সহায়তা শিল্প’ থেকে বাদ পড়েছে। ভারতও যুক্তরাষ্ট্রের উন্নয়ন সহায়তা পেত এবং দেশটির এনজিওগুলোর জন্যও এই সহায়তা বন্ধ করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্ককে শুধুমাত্র সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল ভাবলে ভুল হবে।অনেক বিশ্লেষক যখন ঢাকা-ওয়াশিংটনের সহায়তা স্থগিত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন, তখন দুই দেশের সম্প্রসারিত বাণিজ্যিক সম্পর্ক তাদের চোখ এড়িয়ে যাচ্ছে।
একটি মার্কিন কোম্পানি ২৪ জানুয়ারি বাংলাদেশের সাথে একটি নতুন তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) ক্রয় চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। দ্বিতীয়ত, একজন ব্যবসায়ী-বিনিয়োগকারী, যিনি ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত, দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বলেছিলেন যে, বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য উপযুক্ত। বিনিয়োগের প্রতি সাম্প্রতিক আগ্রহ দেখে বোঝা যায় যে, বাংলাদেশে ব্যবসা ও রাজনীতির পরিবেশ ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে।