জেড নিউজ
জুলাই বিপ্লবে ফ্যাসিস্ট হাসিনার নির্দেশে নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার উপর নির্বিচারে গুলি চালায় পুলিশ। ১৬ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বিপুলসংখ্যক ছাত্র গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। কেউ অন্ধ আবার কেউ পঙ্গু হয়েছেন চিরতরে। তাই অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত পুলিশ সংস্কার কমিশনের সুপারিশে বিক্ষোভ দমনে বলপ্রয়োগে ৫ টি ধাপ অনুসরনের কথা বলা হয়েছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর নীতিমালা এবং পুলিশ প্রবিধান, ১৯৪৩ অনুযায়ী বলপ্রয়োগের এই ধাপগুলো প্রণয়ন করা হয়েছে।
এ বিষয়টি নিয়েই অপপ্রচারে নেমেছে ভারতীয় মিডিয়া। গুলি চালানোর আগে মানতে হবে একগুচ্ছ নিয়ম! পুলিশের বন্দুকে লাগাম পরাবে ইউনূসের বাংলাদেশ! এমন শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করেছে আনন্দবাজার প্রত্রিকাসহ বেশ কিছু ভারতীয় গনমাধ্যম।
কোনও সমাবেশ বা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে অযথা গুলি করা নিয়মবহির্ভূত। জনতা মারমুখী হয়ে উঠলে কিংবা ভাঙচুর করতে শুরু করলে তা নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যবস্থা নিতে পারবে পুলিশ। সে ক্ষেত্রে, প্রথমে জলকামান, কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড, পিপার স্প্রে এবং সব শেষে শটগান, ইলেকট্রিক পিস্তল ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে। পরিস্থিতি সাপেক্ষে শুধু আত্মরক্ষা কিংবা সরকারি সম্পত্তি রক্ষার প্রশ্নেই গুলি চালাতে পারবেন পুলিশকর্মীরা