জেড নিউজ
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ সচিবালয়ের সাত নম্বর ভবনে লাগা আগুন ৬ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে ভবনের আট-নয় তলার গুরুত্বপূর্ণ সব নথিপত্র পুড়ে গেছে বলে ধারণা করছেন ফায়ার সার্ভিস।মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্যমতে, সচিবালয়ের সাত নম্বর ভবনে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন বিভাগ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, আগুনে সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আটওনয় তলা। সেখানে থাকা নথিপত্র পুড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা হচ্ছে।মুহাম্মদ জাহেদ কামাল বলেন, ভবনের আট ও নয় তলা বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। মূলত বিদ্যুৎ লাইন দিয়ে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল।প্রতক্ষ্যদর্শী ও সচিবালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীদের মতে, কঠোর নিরপত্তা বলয়ের মধ্যে থাকা প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্রে এ ধরনের আগুন রহস্যজনক। সাত নম্বর ভবনের তিনটি ভিন্ন ভিন্ন স্থানে একসাথে আগুন জ্বলে উঠা কোনো স্বাভাবিক ঘটনা নয়।
যদিও ফায়ার সার্ভিসের ডিজি জানান, আগুনের উৎস এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হতে পারিনি। শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে। তারপরও আমরা নিশ্চিত না হয়ে এ বিষয়ে কিছুই বলতে চাই না।এদিকে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, এটি কোনো নাশকতা কিনা তা তদন্তর পরই বলা যাবে। এ ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। কমিটির সদস্য ৫ থেকে ১১ জন হতে পারে।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র অনুযায়ী, তারা আগুন লাগার খবর পায় দিবাগত রাত ১টা ৫২ মিনিটে। ১টা ৫৪ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছান ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য আটটি ইউনিট কাজ করলেও, পরে ইউনিটের সংখ্যা বাড়ানো হয়। পরে আগুন প্রায় ৬ ঘন্টা পর নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে তার আগে দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকা আগুনে ভবনটির ছয়, সাত, আট, নয় তলা পুড়ে যায়।এদিকে সচিবালয়ে আগুন নেভাতে গিয়ে রাস্তা পারাপারের সময় ট্রাকচাপায় এক ফায়ার সার্ভিস সদস্য নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন। নিহতের নাম মো. সোহানুর রহমান সোহান (২৮)। তিনি রংপুরের মিঠাপুকুরের আটপনিয়া গ্রামের আখতারুজ্জামানের ছেলে। তেজগাঁও ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে কর্মরত ছিলেন তিনি।